আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের কোচ
চলতি বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তান দলের কোচ মিকি আর্থার।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একটা হারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আর একটা হার। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে যে কোনও দলের জন্যই এটা বড় ধাক্কা। সমর্থকদের প্রত্যাশা, মিডিয়ার চাপ, এসবের মধ্যে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন। রোববার ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছিল।
এদিকে পাকিস্তানের কোচ দেশটির সংবাদমাধ্যম ও বিশেষজ্ঞদের ভূমিকায় একেবারেই সন্তুষ্ট নন। অন্যদিকে পাকিস্তান বোর্ডও আর্থারের ভূমিকায় একেবারেই সন্তুষ্ট নয়।
শোনা যাচ্ছে বিশ্বকাপ শেষ হলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তার সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করার কোনও ইচ্ছাই নেই পাক বোর্ডের। তাছাড়া, পাক ক্রিকেট মহলও আর্থারের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয়। তবে, আর্থার এখন নিজের ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন না। আপাতত তার লক্ষ্য পাকিস্তানকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তোলা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে এখনও শেষ চারে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন সরফরাজরা।
এর আগে ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ চলাকালীন রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তৎকালীন পাক কোচ বব উলমারের।
যা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় ক্রিকেটবিশ্বে। অস্বস্তিতে পড়ে যায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও। মৃত্যুর আগে উলমার প্রবল পেশাগত চাপের মধ্যে ছিলেন।
সেবার পাকিস্তানের দায়িত্বে থাকা বিশ্বখ্যাত ইংলিশ কোচ বব উলমারের মৃতদেহ মিলেছিল হোটেল কক্ষ থেকে। সে মৃত্যু রহস্যের কিনারা হয়নি আজও।
এবারেও কার্যত একই পরিস্থিতি পাকিস্তানের। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়াটা রীতিমতো অনিশ্চিত। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কী উলমারের মতোই প্রবল চাপে রয়েছেন আর্থারও। যদিও, পাকিস্তান কোচ এসব কিছু বলেননি। তিনি নিজের বক্তব্যের যুক্তি হিসেবে দেখিয়েছেন পরপর হারের হতাশাকেই।