ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড নয়, সেমির দৌড়ে এগিয়ে পাকিস্তান

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০১৯, ০১:২৪  
আপডেট :
 ২৭ জুন ২০১৯, ০১:৪২

পাকিস্তানের দাপটে কুপোকাত অপরাজিত নিউজিল্যান্ড

বিশ্বকাপে পাকিস্তান আজ যে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে। তাতে ভয়টা পেতেই পারে ইংল্যান্ড কিংবা বাংলাদেশ। পাকিস্তান সম্পূর্ণ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবারের বিশ্বকাপের অপরাজিত নিউজিল্যান্ডকে বোলিংয়ে নাস্তানাবুদ করে, ব্যাটিংয়েও দেয়নি পাত্তা।

বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেসে খেলেই জয় পেল পাকিস্তান। কিউইদের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে সাত ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখল সরফরাজ বাহিনী। বলতে গেলে, সেমিফাইনালে যেতে এখন বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি আশাবাদি পাকিস্তান।

নিজেদের পরের দুই ম্যাচে আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেলে কাঙ্ক্ষিত সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপ যাত্রাটাও যে হুবুহু মিলে যাবে এমনটা হয়তো ভাবেনি পাকিস্তানের ঘোরতর আশাবাদী সমর্থকরাও। সেবার নিজেদের সপ্তম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠার পথে টিকে ছিলো ইমরান খানের দল। এবার এজবাস্টনেও ঠিক একই পথে হাঁটল সরফরাজ আহমেদের দল।

বুধবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিলো পাকিস্তানের জন্য অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই। কারণ হারলেই শঙ্কায় পড়ে যাবে তাদের সেমিফাইনালের টিকিট। অন্যদিকে এ ম্যাচে জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে পৌঁছে যেত কিউইরা।

কিন্তু নিউজিল্যান্ডের সে লক্ষ্য ছুঁতে দেয়নি পাকিস্তান। বাবর আজম ও হারিস সোহেলের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। অপেক্ষা বাড়িয়েছে নিউজিল্যান্ডের, ফিরিয়ে এনেছে নিজেদের ২৭ বছর আগের ইতিহাস। কিউইদের করা ২৩৭ রানের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে তাড়া করেছে পাকিস্তান।

কাকতালীয় হলেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ছয় ম্যাচের ফলাফল ছিলো যথাক্রমে হার, জয়, পরিত্যক্ত, হার, হার ও জয়। এবারও প্রথম ছয় ম্যাচে ঠিক হার, জয়, পরিত্যক্ত, হার, হার ও জয় দেখেছে পাকিস্তান। সেবার প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল ইমরান খানের দল, এবার সরফরাজ আহমেদের দলও ক্যারিবীয়দের কাছেই হেরেছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ।

শুধু তাই নয়, ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের সপ্তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সে ম্যাচে জয়লাভ করেই সেমির টিকিট নিশ্চিত করে তারা। এবারও নিজেদের সপ্তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে নিজেদের সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল দলটি।

তবে সেবার অংশগ্রহণকারী দল ছিলো ৯টি, এবার হলো ১০টি। তাই পুরোপুরি ফিরে আসবে না ১৯৯২ সালের ইতিহাস। তবু এমন কাকতালীয় ফল পাওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে পাকিস্তান।

পরীক্ষার গ্রেড পরিবর্তনের চার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে

পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পরিবর্তন করে নতুন গ্রেড পদ্ধতির প্রস্তাবনা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। বুধবার মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের চেয়ারম্যানদের এক বৈঠকে গ্রেড পরিবর্তনের চারটি প্রস্তাবনা তুলে দেয়া হয়েছে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।

নতুন প্রস্তাবনায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় প্রতি পাঁচ নম্বর ব্যবধানে জিপিএ পরিবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ নম্বরের জিপিএ-৫ কমিয়ে তা জিপিএ-৪ গ্রেড করতে বলা হয়েছে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক পরীক্ষায় বিশ্বের সঙ্গে আমাদের নম্বরের শ্রেণিব্যাপ্তি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে জিপিএ-৫ পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ জিপিএ-৪ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে ৮০ থেকে ১০০ নম্বরে জিপিএ-৫ দেয়ার পদ্ধতি থাকছে না। পরীক্ষার ফলের পাঁচ নম্বর ব্যবধানে পরবর্তী গ্রেড পরিবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জানা গেছে, আরেক প্রস্তাবে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পাস নম্বর ১০০ করা হয়েছে। জিপিএ-৫ পরিবর্তন করে তা জিপিএ-৪ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০০ থেকে ৯৫ নম্বর অথবা ১০০ থেকে ৯০ নম্বর পেলে নতুন গ্রেড হিসেবে ‘এক্সিলেন্ট জিপিএ-৪ গ্রেড’ যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ৮০ নম্বর পর্যন্ত জিপিএ-৪ হিসেবে ‘এ’ প্লাস দেয়া হবে। পরবর্তী প্রতি পাঁচ নম্বর ব্যবধানে গ্রেড পরিবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরেক প্রস্তাবে, ১০০ থেকে ৯৫ পর্যন্ত জিপিএ-৪ ধরা করা হয়েছে। পরবর্তী গ্রেড হিসেবে ‘এ’, ‘এ’ মাইনাস, ‘বি’ প্লাস, ‘বি’, ‘বি’ মাইনেস, ‘সি’ প্লাস, ‘সি’, ‘সি’ মাইনাস, ‘ডি’ প্লাস ‘ডি’, ‘ডি’ মাইনাস, ‘ই’ প্লাস, ‘ই’, এবং ‘ই’ মাইনাস গ্রেড দেয়া হবে। ফেল হিসেবে ‘এফ’ গ্রেড থাকবে। সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৩৩ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এমন চারটি প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। এসব গ্রেডের সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ জিপিএ-৪ থেকে পরবর্তী গ্রেড নির্ধারণ করা হবে। তবে পাস নম্বর ৪০ বা তার কম করা যায় বলেও প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এটি ৩৩ নম্বর রাখার পক্ষে অধিকাংশ বোর্ড চেয়ারম্যান মতামত দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বুধবার জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেড পরিবর্তনের চারটি প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। এসব প্রস্তাব বিচার-বিশ্লেষণ করে একটি চূড়ান্ত করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর তা অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত করা হবে।

চেয়ারম্যান বলেন, বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় খুব বেশি সময় দিতে পারেননি। দুপুর ১টায় তিনি মন্ত্রণালয়ে আসেন। এরপর ৩০ মিনিট তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়। গত ১২ জুন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের এক মতবিনিময় সভায় গ্রেড পরিবর্তনের প্রস্তাবনা তৈরির করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তার নির্দেশে আমরা চারটি প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সভায় উপস্থিত রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদ ও যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল আলীমের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারাও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত