ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুশফিকের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:১৩

মুশফিকের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ

জিততে হলে বাংলাদেশকে জিততে হবে রেকর্ড করে। কারণ চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করা চাট্রিখানি কথা নয়। তাও বাংলাদেশের ভংগুর ব্যাটিং লাইনআপে। এত বড় রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আফগান স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে টাইগাররা।

৩৯৮ রানের লক্ষ্যে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বাঁহাতি সাদমান ইসলামের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ডানহাতি লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে লিটন ব্যাট করেছিলেন তিন নম্বরে। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন সৌম্য। কিন্তু ওপেনিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি লিটন। বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩০ রানেই লিটনকে হারালো বাংলাদেশ। ৩০ বলে ৯ রান করে জহির খানের শিকার হল লিটন। ওপেনিংয়ের পরিবর্তনের মতো ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরেও চমক উপহার দিল বাংলাদেশ। পাঠানো হলো মোসাদ্দেক হোসেনকে। কিন্তু ১২ রান তুলেই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তিন নম্বরে নামা মোসাদ্দেক। এরপর চার নম্বরে নেমেছেন বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ২৩ রানেই রশিদ খানের শিকার হয়ে ফিরেছেন তিনি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮০ রান। ক্রিজে আছেন মুমিনুল ইসলাম ও সাদমান ইসলাম।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার একমাত্র টেস্টে স্বাগতিকদের ৩৯৮ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আফগানরা। বৃষ্টি বিঘ্নিত চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ২ ঘন্টা ১০ মিনিট পর। চতুর্থ দিনে ২৩৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র ২৩ রান যোগ করে অল আউট হয় আফগানরা।

বৃষ্টি শেষে সকাল সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে শুরু হয়েছে চতুর্থ দিনের খেলা। খেলা শুরুর সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে সেশনগুলোর সময়ও। লাঞ্চ বিরতি হবে দুপুর একটায়। আলো থাকলে চেষ্টা করা হবে দিনে অন্তত ৭৩ ওভার খেলা চালানোর।

এর আগে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় আলোক স্বল্পতার কারনে ৪৫ মিনিট আগেই শেষ হওয়ায় চট্রগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন। দিনশেষে আফগানদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৩৭ রান। লিড ৩৭৪ রানের।

তৃতীয় দিনের শুরুতে টাইগারদের ২০৫ রানে অলআউট করে আফগানরা। মোসাদ্দেক হোসেন ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামে আফগানার। কিন্তু শুরুটা ভালো করতে দেননি সাকিব। একওভারে তুলে নিলেন তাদের দুই ব্যাটসম্যান। সেই চাপ সামলে নেন আসগান আফগান ও ইব্রাহিম জাদরান। দু’জনে ১০৮ রানে পার্টনারশিপ গড়ে তুলেন।

তবে, ফিফটি করে আফগান ফিরলেও ক্রিজে অবিচল ছিলেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। তরুণ অফ স্পিনার নাইম হাসানের বলে মুমিনুল হকের তালুবন্দি হয়ে শেষ হয় ইব্রাহিম জারদানের ২০৮ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।

ভালোই খেলছিলেন তারা। তবে তাতে বাদ সাধেন নাঈম হাসান। দলীয় ২৮ রানে হাশমতউল্লাহকে বিদায় করেন তিনি। এরপরেও দমে যাননি আফগানরা। এরপর আসগর আফগানকে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় প্রতিরোধ গড়েন ইব্রাহিম। ১০৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এমনসময় দলীয় ১৩৬ রানে অর্ধশতক করা আসগর আফগানকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল। তার ঘূর্ণি বলে ক্যাচ লুফে নেন সাকিব। আফগান ফিরে গেলে ইব্রাহিমও (৮৭) তার দেখানো পথেই হাটেন নাঈমের শিকার হয়ে।

দলীয় ১৭১ রানে ইব্রাহিম আউট হলে উইকেটে আসেন মোহাম্মদ নবী। এরপর আফসারের সাথে জুটি গড়ার চেষ্টা করলে তাকে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। এরপর অধিনায়ক রশিদ খান ছয়টি বাউন্ডারিতে ২৪ রান করেন আর তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। এরপর সাকিব ফিরিয়ে দেন ১৪ রান করা কায়েস আহমেদকে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত