ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

আফগানদের হারাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:১৪

আফগানদের হারাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ইতোমধ্যেই ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ফলে লিগ পর্বের এক ম্যাচ বাকী থাকতেই ফাইনালের টিকিট পায় টাইগাররা। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী আফগানিস্তান।

এমনকি লিগ পর্বের শেষ ম্যাচেও টাইগারদের প্রতিপক্ষ আফগানরা। তাই ফাইনালের আগে আগামীকাল আফগানিস্তানকে হারিয়ে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে লিগ পর্বের ষষ্ঠ ও শেষ ম্যাচে লড়বে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে লজ্জার হারের স্বাদ পেতে হয় টাইগারদের। ২৫ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। অর্থাৎ লিগে প্রথম পর্বে একটি করে ম্যাচে জয় ও হারের স্বাদ নেয় সাকিবের দল।

ফিরতি পর্বে আবারো জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। কারণ ৩ ম্যাচে ২টি জয়ে ৪ পয়েন্ট অর্জন করে বাংলাদেশ। প্রথম দু’ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট ছিলো আফগানিস্তানেরও। আর ৩ ম্যাচে সবগুলোতে কোন পয়েন্ট ছাড়াই সিরিজ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। কেননা বাকি ম্যাচে(আজ)আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ী হলেও কোন লাভ হচ্ছেনা জিম্বাবুয়ের। ফিরতি পর্বে বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের বিদায় নিশ্চিত করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। আফগানিস্তানকে নিয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।

ফাইনালের আগে ফিরতি পর্বেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। শিরোপা লড়াইয়ে নামার আগে আফগানদের বিষয়ে আরও ধারনা পাবার সুযোগ পেল টাইগাররা। তবে এ ম্যাচ জিতে ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস হবার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের।

তাই ফাইনালের আগে লিগ পর্বে আফগানিস্তানকে হারাতে মরিয়া বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর এমনটাই জানিয়েছিলেন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ফাইনালের আগে লিগ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও প্রভাব বিস্তার করে খেলে জয় তুলে নেয়া। যা আমাদেরকে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, র‌্যাংকিংয়ে তারা আমাদের উপরে আছে। আমাদের জিততে হলে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। পরের ম্যাচের জন্য আমাদের আত্মবিশ্বাস দরকার যাতে আমরা ম্যাচটিতে ভাল খেলতে পারি। আর ফাইনালে সেটিই আমাদের এগিয়ে রাখবে।’

জয়ের লক্ষ্যের সাথে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নিজেদের রির্জাভ বেঞ্চ ঝালাই করে নিতে পারে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ইনজুরিতে পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেক হওয়া স্পিনার আমিনুল ইসলাম। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে অনিশ্চিত তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলিং করে ফলো থ্রোতে বল ধরতে গিয়ে আঙ্গুলে ব্যাথা পান আমিনুল। পরে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে তার আঙ্গুলে। আমিনুল বলেন, ‘মাসাকাদজার স্ট্রেইট ড্রাইভ করা একটি বল আমি থামাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। বলটি আমার হাতে লাগে, ব্যাথা পাওয়ায় পরবর্তীতে হাতে সেলাই করতে হয়েছে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজের খেলা অনিশ্চিত জানিয়ে আমিনুল, ‘আল্লাহর রহমতে আমি এখন ভাল বোধ করছি। ব্যথা অনেকটাই কমেছে। অবশ্য পরবর্তী ম্যাচে আমি খেলতে পারব কি-না জানি না। এই মূর্হুতে আমি ফিজিওর নির্দেশনা মেনে চলছি।’

আমিনুলের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘এইচপি দলে খেলার সময় ব্যাথা পেয়েছিলো আমিনুল। একই স্থানে পুনরায় ব্যাথা পাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। পরের ম্যাচে তার খেলার বিষয়ে ফিজিও ভালো বলতে পারবে।’

বাংলাদেশের মত ফাইনালের আগে জয় পেতে মুখিয়ে থাকবে আফগানিস্তানও। কারন টি-২০ ইতিহাসে টানা ১২ ম্যাচ জিতে বিশ্বরেকর্ডের মালিক এখন তারা। তাই এই বিশ্বরেকর্ডের পথটা আরও লম্বা করতে চাইবে আফগানরা। অবশ্য ফাইনালের আগে দু’টি ম্যাচ পাচ্ছে আফাগিনস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নামবে রশিদের দল। ফলে ফাইনালের আগে নিজেদের ভালোভাবেই ঝালিয়ে নিতে পারবে আফগানিস্তান।

তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০তে বাংলাদেশের সাফল্য মোটেও ভালো নয়। পাঁচবারের দেখায় তিনবারই হার টাইগারদের। গেল বছর জুনে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দল:

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আফিফ হোসেন, তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

আফগানিস্তান দল:

রশিদ খান (অধিনায়ক), আসগর আফগান, দাওলাত জাদরান, ফরিদ আহমেদ, ফজল নিয়াজাই, গুলবাদিন নাইব, হযরতউল্লাহ জাজাই, করিম জানাত, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, নাজিব তারাকাই, নাজিবুল্লাহ জাদরান, নাভিন উল হক, রহমনউল্লাহ গুরবাজ, শফিকুল্লাহ, শহিদুল্লাহ ও শরফুদ্দিন আশরাফ।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত