ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

শচীনকে দেখে অনুপ্রাণিত হন মিতালি

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:০০

শচীনকে দেখে অনুপ্রাণিত হন মিতালি

বয়স ৩৬। খেলেছেন ২০৩টি একদিনের ম্যাচ, ৮৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, ১০টি টেস্ট। ভারতকে জিতিয়েছেন বহু ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরও নিয়ে ফেলেছেন। তবু এখনও নতুন করে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন মিতালি রাজ। অবশ্য এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারন, তাকে অনুপ্রাণিত করছেন আর কেউ নন, শচীন টেন্ডুলকার।

গত শুক্রবার সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন শচীন। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যখন খেলতেন, তখন কী করে তিনি জলে টইটম্বুর পিচে প্র্যাকটিস করতেন। দেখা যাচ্ছে, উইকেটের মাঝখান জলে ভর্তি। আর সেই জলমগ্ন পিচে শচীনকে থ্রো–‌ডাউন দিচ্ছেন তার বন্ধু–‌বোলাররা। বল যখন পিচে পড়ছে, তখন চারদিকে এতটাই জল ছিটিয়ে উঠছে, বল ভাল করে দেখাই যাচ্ছে না। তার মধ্যে কোনও বল লাফিয়ে উঠছে, কোনওটা নিচু হয়ে যাচ্ছে। আর শচীন সেগুলো অসামান্য দক্ষতায় সামলাচ্ছেন।

কোনওটা ডাক করছেন, কোনওটা সামনের পায়ে গিয়ে ডিফেন্স করছেন, এমনকি কয়েকটা বল সজোরে মারছেনও। সেই মারে যেমন রয়েছে চাবুকের মতো সোজা শট, তেমনি সামনের পায়ে ড্রাইভও। আর তা দেখে চারপাশের লোকজন হাততালি দিয়ে আরও উৎসাহিত করছেন শচীনকে। নিজেকে নিখুঁতের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এভাবে অনুশীলন করার পদ্ধতি বেছে নিয়েছিলেন তিনি। টুইটারে একই সঙ্গে লেখেন, ‘‌খেলার প্রতি ভালবাসা এবং প্যাশন সবসময়ই প্র্যাকটিসের নতুন নতুন পন্থা বার করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, একজন যেটা করছে, সেটা উপভোগ করতে আরও সাহায্য করে।’‌

এসব দেখেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করছেন মিতালি রাজ। ক্রিকেট থেকে হয়ত আর বছর কয়েকের মধ্যেই সরে যাবেন তিনি। তবু শচীনের সেই ভিডিও দেখে মিতালি পাল্টা টুইট করেছেন। সেখানে শুধু একটাই শব্দ লিখেছেন তিনি— ‘‌মোটিভেটেড’‌। অর্থাৎ ‘‌উদ্বুদ্ধ’‌।

টুইটারে শচীনের ভিডিও দেখে মিতালির মতো উচ্ছ্বসিত আপামর ক্রিকেটপ্রেমী। একজন লিখেছেন, ‘‌ভিডিওটা দেখে দারুণ লাগল।’‌ পাকিস্তানের এক ভক্তর টুইট, ‘‌শচীন, আপনাকে মিস করছি। পাকিস্তানের ভালবাসা রইল।’‌ আরেক ভক্তর মন্তব্য, ‘‌সর্বকালের সেরাকে স্যালুট।’‌ কেউ লিখেছেন, ‘পৃথিবীতে ‌সত্যিকারের জিনিয়াস ক্রিকেটার যদি কেউ থাকে, সে শচীন।’‌

সম্প্রতি শচীন বলেন, ‘‌তিনি ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের একটি একদিনের ম্যাচে ওপেন করার জন্য কাকুতি–‌মিনতি করেছিলেন।’‌ সেটাই ছিল তার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম বড় মোড়। একদিনের ক্রিকেটে মিডল–‌অর্ডার ব্যাটসম্যান থেকে ওপেনিং ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠাটা শচীনের ক্রিকেটজীবনে মাস্টারস্ট্রোক।‌

  • সর্বশেষ
  • পঠিত