সন্তানের বেশি ওজন যেভাবে কমাবেন
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০১৯, ১৬:৫৪
আধুনিক জীবনে ব্যস্ততার প্রভাব পড়েছে আপনার ছোট সন্তানের উপরেও। পড়াশোনার পাশাপাশি নানা গুণে পারদর্শী হয়ে উঠতে গিয়ে তাদের হাতেও সময় থাকছে কম। আবার এই সব কারণে শিশুর ঘুম কমে যাচ্ছে। কোথাও আবার মা-বাবার প্রত্যাশার চাপ বাড়ছে শিশুর উপর।
ফলে স্ট্রেসজনিত হতাশা, মানসিক অসুখ বাড়ছে শিশুদের। আর যার কারণে খাওয়ার অনিয়ম, কম ঘুম, অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের পরিমাণও বেড়েছে। যার জন্য এখন ওবেসিটিও অনেক দেখা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শিশুদের মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরাও এমন একটি পরীক্ষা করেন।
পর্যাপ্ত ঘুম
স্কুল পর্যন্ত শিশুর বুদ্ধি ও দেহের বিকাশ ঘটে। তাই এই সময় ঘুম কম হলে অসুখ সেই জায়গাটা পূরণ করবে। তাই যতই পরীক্ষা-পড়াশোনা জনিত চাপ থাকুক না কেন ঘুমের সময় কোনো ভাবেই সাত-আট ঘণ্টার কম করা যাবে না।
খাওয়া
পুষ্টিবিদের কাছে যান শিশুকে নিয়ে এবং তার নির্দিষ্ট বয়সে ডায়েট চার্ট ঠিক করুন। আর ডায়েট মানেই শিশুর সব প্রিয় খাদ্য বাদ, এমন নয়। চাইল্ড ডায়েটে চকলেটও থাকে। কেবল দরকার কতটা খাবে আর কখন খাবে তার নিয়ম জানা।
স্ট্রেস
মানসিক চাপ বাড়তে পারে এমন কোনো কাজ করবেন না। সকলের মস্তিষ্ক ও বুদ্ধি সমান হয় না। তার আগ্রহের জায়গা খুঁজে বের করুন। সেটাতেই জোর দিন। কিন্তু অকারণ ভীতি বা চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবেন না।
ফাস্ট ফুড
বাড়িতেই নুডলস বা ফ্রোজেন ফুড এনে বানিয়ে দেয়ার অভ্যাস থাকলে তা কমান। আর প্যাকেট স্যুপ ও ঠাণ্ডা পানীয়ও এড়িয়ে চলুন। টিফিনকে মজাদার করতে তুলতে রান্নার রেসিপি জানুন।
চকলেট
সব সময় কথায় কথায় চকলেট একেবারেই দেবেন না। এতে দাঁতের ক্ষতি তো হয়ই ওজনও বাড়ে দ্রুত। সপ্তাহে দুইটির বেশি চকলেট বার দেবেন না। আর যদি ডার্ক চকলেট হয় তা হলে খুবই ভাল।
ফ্রিজের পানি
ফ্রিজ খুলেই ঠাণ্ডা পানি নিজেও খাবেন না, বাচ্চাকেও দেবেন না। ঠাণ্ডা পানি ওবেসিটির জন্য দায়ী।
পর্যাপ্ত পানি
শরীরে পানির অভাব হলে শরীরও সুযোগ বুঝে পানি জমিয়ে রাখবে। এতেও শরীর ফোলে। তাই শিশুকে নিয়ম করে পানি খাওয়ার অভ্যাস করান।
ভাত কম
ছোট থেকেই ভাত কম দিন। ভাতের জায়গায় দুই-একটি রুটি দিন। ভাত খেলেও পরিমাণে কম দিয়ে সেই খিদে মেটান সবজি, মাংস, মাছ, পনির, দুধ, টক দই এ সব দিয়ে।
শরীরচর্চা
শুধু পড়াশোনা নয় খেলার মাঠে খেলতে দিন। কোনো যোগাসন ক্লাসে বা সাঁতারে ভর্তি করে দিন। এটাকে হালকা ভাবেই চলতে দিন।
আরএ/