ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫১ মিনিট আগে
শিরোনাম

অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২০, ২০:১৫

অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

যশোরের অভয়নগরবাসীর স্বপ্নের ভৈরব সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যশোর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত প্রমুখ।

উদ্বোধনকালে যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা অভয়নগরে ভৈরব সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, উদ্বোধন উপলক্ষে ভৈরব সেতুর দুপাশে বিভিন্ন রঙের পতাকা টাঙানোসহ রেলিংয়ে জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজে সাজানো হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে সেতু দিয়ে সব প্রকার যান চলাচল করতে পারবে। সেইসঙ্গে সেতু নির্মিত হওয়ায় এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদের পশ্চিম পাশে মশারহাটি এবং পূর্ব পাশে দেয়াপাড়া গ্রামকে সংযোগ স্থাপন করেছে সেতুটি। প্রতিদিন সেতু দেখার জন্য হাজারো মানুষের ঢল নামে। ৭০২ দশমিক ৫৫ দীর্ঘ এবং ৮ দশমিক ১ মিটার প্রস্থ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সেতুর উভয়পাড়ের ৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে ব্যয় বেড়েছে আরও ৭ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশর অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ভৈরব সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স র‌্যাংকিং। গত ঈদের পর থেকে এলাকার মানুষ চলাচল করছে।

অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সরদার জানান, ২০১৫ সালের জুন মাসে শুরু হয় এই সেতুর নির্মাণকাজ। জমি অধিগ্রহণের জন্য বিলম্ব না হলে আরো আগে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হতো।

সেতু নির্মাণের ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েক মাস আগে ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ১৫টি পিলারের (কলাম) উপর দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের এই সেতুটি। সেতুটি নির্মাণের ফলে দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন।

জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াদা বাস্তবায়ন হলো। অভয়নগরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ভৈরব সেতু। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন তা বাস্তবায়ন হলো। অভয়নগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নকে ভৈরব নদ আলাদা করে রেখেছিল। সেতু হওয়ায় এপার-ওপার মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হলো।

সেতুর পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা পৌর কাউন্সিলর শেখ আবদুল ওয়াদুদ জানান, স্বপ্নের ভৈরব সেতুটি হওয়ায় আমাদের পশ্চিম পাড়সহ পূর্ব পাড়ের লাখ লাখ মানুষের দুঃখ লাঘব হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত