ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাস্কে অনীহা হিলিবাসীর

  হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৩৭

মাস্কে অনীহা হিলিবাসীর
ছবি: মাস্কে অনীহা হিলিবাসী (প্রতিনিধি)

দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধিসহ মাস্ক ব্যবহারে অনীহা দেখা গেছে হিলিবাসীর। এই উপজেলার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন যানবাহনে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার চর্চা। রাস্তাঘাটে চলাচলকৃত মানুষের মুখে নেই মাস্ক। মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জেল-জরিমানার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও উপজেলা প্রশাসনও রয়েছে নীরব, নেই কোনো অভিযান।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, প্রথম ধাপে এই উপজেলায় করোনার আক্রান্ত হয়েছে ৮৩ জন, যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮২ জন, মারা গেছে একজন।

বুধবার দুপুরে শহর ঘুরে দেখা যায়, হিলি স্থলবন্দর চারমাথা এলাকা বিভিন্ন যানবাহন, হিলি বাজারের কাঁচাবাজার, চালহাটিসহ কাপড়ের দোকান গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বেশিরভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক আবার কারো কারো মাস্ক থাকলেও তাও রয়েছে থুঁতনিতে।

হিলি বাজারের চুন বিক্রেতা শ্যামল বলেন, ‘আর মাস্ক ব্যবহার করবা মোনায় না (ইচ্ছে করে না)। মাস্ক পকেটে আছে ইউএনও আসলে মুখে দিমু। করোনা টরোনা হামাক (আমাকে) ধরবো নায় বাহে।’

কথা হয় হিলি বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা সোবহান এর সাথে তিনি বলেন, মুখে মাস্ক থাকলে ক্রেতারা আমার কথা বুঝতে পারে না তাই মাস্ক খুলে রেখেছি।

বাজার করতে আসা কয়েকজন মহিলার সাথে কথা হয় তারা বলেন, এখন মাস্ক সবাই ব্যবহার করছে না তাই আমরা মাস্ক বাড়িতে রেখে এসেছি। করোনা তো এখন কমে গেছে তাই মাস্ক ব্যবহার আর করি না।

কয়েকজন পথচারী বলেন, রাস্তা দিয়ে চলার সময় মুখে মাস্ক দিয়ে চলতে, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয় আর আগের মত প্রশাসনের কোনো অভিযান নেই তাই আর মাস্ক পরতে ইচ্ছে করে না।

হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, করোনা দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় আমরা প্রস্ততি গ্রহণ করেছি। আপনারা জানেন হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট রয়েছে সেটি যদি চালু হয় আমরা দ্রুত স্ক্যানার বসাবো। সেই সাথে অফিসগুলোতে সেবা নিতে গেলে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর এ আলম জানান, আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করবো। মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো জানান, উপজেলা বিভিন্ন মসজিদে শুক্রবারে নামাজে মাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বলা হয়েছে। তাছাড়াও আগামী সপ্তাহে থেকে বিভিন্ন অফিসগুলোতে ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ কার্যক্রম আমরা শুরু করবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত