ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মানবপাচার সক্রিয় হয়ে ওঠেছে দালালচক্র

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ১২:১৭

মানবপাচার সক্রিয় হয়ে ওঠেছে দালালচক্র
ছবি: সংগৃহীত

আবারও মালয়েশিয়ায় মানবপাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র। কাজের উদ্দেশ্যে টুরিস্ট ভিসায় আসা থেকে বিরত থাকতে সচেতন করা হলেও দেশি-বিদেশি পাচার চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর চলতি মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে মালয়েশিয়া। আর এতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে দালালচক্র।

জানা যায়, বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়া দূতাবাস পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্যাদি ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা ইস্যু না করলেও দালালচক্র সৌদি আরব, দুবাই মালয়েশিয়া দূতাবাস থেকে ই-ভিসা ইস্যু করছে দেদারছে। এক্ষেত্রে জনপ্রতি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে দালাল চক্র। তবে ফ্লাইটের আগে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন কর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মানবপাচার চলছে।

এদিকে জোরপূর্বক শ্রম ও মানব পাচাররোধে মেগা অপারেশন অব্যাহত রেখেছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে যেকোনো দেশি বা বিদেশি কর্মীকে নিয়োগকর্তা বা কোনো ব্যক্তি জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করলে অথবা এ উদ্দেশ্যে পাচারের শিকার হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে ‘অপস ব্যানতেরাস’ নামের এই মেগা অপারেশন টিম।

দেশটি মানবপাচার ও অভিবাসীদের চোরাচালানের জন্য ১৫ থেকে ২০ বছর কারাদণ্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও গুরুতর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছরের কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো শাস্তি ও বেত্রাঘাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন সম্প্রতি পার্লামেন্টে বিলটি পেশ করার সময় বলেন, সরকারি কর্মচারী জড়িত থাকলে ও অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে শাস্তি পাবে। পাচারের শিকার ব্যক্তি গুরুতর আঘাত পেলে বা মৃত্যু ঘটলে বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হওয়া বা আত্মহত্যা করলে পাচারকারীর গুরুতর অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।

২০১৫ সাল থেকে মানবপাচারের এক হাজার ৯১৫টি ও অভিবাসীদের এক হাজার ৫২টি পাচারের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই সময়ে ১১ হাজার ৯৪২ ভুক্তভোগীকে রক্ষা করা ও সুরক্ষা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত