ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

পঞ্চগড়ে হিমেল হাওয়া-ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২৫

পঞ্চগড়ে হিমেল হাওয়া-ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত
ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা মেলেনি। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ছবি: প্রতিনিধি

হিমালয়ের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে শীত জেঁকে বসেছে। এর আগে গত কয়েক দিন তাপমাত্রা বেশি থাকায় আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে ছিল সেখানে। কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই তীব্র শীত অনুভূত হয়। ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা মেলেনি। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) পঞ্চগড়ে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড দিয়ে শুরু হলো নতুন বছর। সকাল ৯টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর নতুন বছরের (২০২৪ সাল) শুরুতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিদায়ী বছরে ডিসেম্বর মাসে এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৩ দিন। তার মধ্যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হয়েছে ৬ দিন। ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ছিল ৬ দিন, ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ছিল ৬ দিন, ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে ছিল ৪ দিন এবং ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ছিল ২ দিন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই হিম বাতাস বইতে থাকে। রাত ৯টার পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় শহর ও গ্রামের হাটবাজারগুলো। রাত বাড়তে থাকলে ঘন কুয়াশার সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার আবরণ দেখা যায়। একইসঙ্গে তীব্র ঠান্ডা বাতাসের কারণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কাজে বের হলেও শহরের অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সকাল থেকে সারাদিন ঢাকা থাকছে সূর্যের মুখ।

স্থানীয় মহসিন আলি জানান, আমি করতোয়া নদীতে সকালে বালি তুলতে যাই, ঘন কুয়াশা এবং শীতে কাজ করতে পারি না। শরীর বরফের মত হয়ে যায়। কাজ করতে না পারালে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়বে।

ভ্যান চালক আব্দুল মালেক ও সাত্তার আলি জানান, বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডা বেড়ে গেছে। ভ্যানে কেউ উঠতে চায় না কারণ বাতাসে বেশি শীত লাগে। যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। আরও একজন বলেন, আটোরিকশায় ঘন কুয়াশার শীতে যাত্রী একেবারে কমে গেছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজকে বছরের প্রথম দিন। সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত বছর আজকের দিনে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ জেলার কাছে হিমালয়ের অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীত আগে নামে। এ সময়টাতে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। আগামীতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত