ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘মরে যাবো! মরে যাবো! আর মাইরেন না’

‘মরে যাবো! মরে যাবো! আর মাইরেন না’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম। তাকে হাতুড়ি, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

বর্তমানে রাজশাহী নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। ওইদিনের ঘটনার কথা মনে করে তরিকুল কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সেদিন কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেলে পতাকা হাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করি। দেখি প্রধান ফটকের সামনে অনেক পুলিশ। আমার সঙ্গে বেশ কয়েকজন সহপাঠীও ছিল। কিন্তু হঠাৎ হাতুড়ি, লোহার রড, রামদা আর লাঠিসোটা নিয়ে একদল লোক ‘ধর ধর’ বলে আমাদের দিকে তেড়ে আসে। আমরা সামনের দিকে দৌড় দিয়ে তাদের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা। কিন্তু দৌড়াতে গিয়ে রাস্তায় আমার এক সহযোগী পড়ে যায়। তার জন্য থামতেই পেছন থেকে আমার মাথায় লাঠির আঘাত! ফিনকি দিয়ে বেরুচ্ছিল রক্ত! তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। চতুর্দিক থেকে আমাকে ঘিরে তারা লাঠি আর হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছিল। ‘মরে যাবো! মরে যাবো! আর মাইরেন না’ বলে আর্তনাদ করলেও ওরা থামেনি।

তিনি অভিযোগ করেন, যারা তার উপর হামলা করেছে তারা সবাই রাবি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। ওদের মধ্য থেকেই কয়েকজন ‘মারা যাবে’ বলে সতর্ক করে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে শিবির ক্যাডাররা সেদিন ক্যাম্পাসে অরাজক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তাই ছাত্রলীগ চেষ্টা করেছে, ক্যাম্পাসে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তরিকুলের এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, তার ডান পা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এছাড়া মাথায় নয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখনো ভালো নয়। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় তরিকুল ইসলামকে রিলিজ দেয়া হয় বলে তার সহপাঠী মতিউর রহমান জানিয়েছেন। তরিকুলের এখন ঠাঁই হয়েছে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার রয়েল নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত