ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

চাকরির বয়স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১২

চাকরির বয়স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ
ফাইল ছবি

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে পাঠানো এক প্রস্তাবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। এরপর দু’সপ্তাহের বেশি সময় কেটে গেলেও সেই ফাইলটি এখনও অনুমোদন পায়নি।

এর কারণ হিসেবে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় নিবার্চনের আগে এ প্রস্তাব দেয়া ঠিক হবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছে সরকারের শীর্ষ মহল। তাই নিবার্চনের আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাবটি চূড়ান্ত নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি অনুমোদিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ কৌশলগতভাবেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়টি নিবার্চনী ইশতেহারে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। যাতে পরেরবার ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করা যায়। কারণ হিসেবে ভাবা হচ্ছে, দেশের ২ কোটি ২৫ লাখ তরুণ ভোটারের কথা। আর এটি তরুণদের দীর্ঘদিনের দাবি। ফলে এ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিতে তরুণ ভোটাররা উদ্বুদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে বলে আশা ক্ষমতাসীন দলের। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নিবার্চনী ইশতেহারের খসড়াতেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ করার বিষয়টি অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। খসড়াটি এখনো চূড়ান্ত না হলেও শিগগিরই তা চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, নিবার্চনের আগেই এটি বাস্তবায়ন করা হলে ভোটে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবার কোনো কোনো বলছেন, বিষয়টিকে নিবার্চনের আগে বাস্তবায়ন না করে বরং নিবার্চনী ইশতেহারে রেখে নিবার্চনের পরে বাস্তবায়ন করলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে পজেটিভ, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে। তারা চান সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাদের দাবি মেনে নেয়া হোক, তাহলে তারা ৪০তম বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত