আনুশকা হত্যা: গ্রেপ্তার দিহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলছাত্রী আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তানভীর ইফতেখার দিহানকে কলাবাগান থানা থেকে আদালতে নেয়া হয়েছে। সেখানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগের মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর দিহানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আসাদুজ্জামান আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

‘আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে, হাজীদের সুবিধা আরও বাড়বে’

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালতে কলাবাগান থানার (নারী ও শিশু) সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা স্বপন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার (তদন্ত) আসাদুজ্জামান আসামির ১০ দিনের রিমান্ড দাবি করেছিলেন। তবে আসামি দোষ স্বীকার করায় রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেননি আদালত। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলাবাগান থানার অফিসার এসআই মো. রুম্মন।

নির্যাতনের শিকার কিশোরীর নাম আনুশকাহ নূর আমিন (১৮)। সে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টার মাইন্ডের ‘ও লেভেল’-এর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়েটির বন্ধু দিহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো তিন বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, আনুশকার বাসা ধানমণ্ডির সোবহানবাগে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয় সে। পরে ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে।

পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন

রাজধানীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ​

ধর্ষণ আড়াল করতেই হাসপাতাল ‌‘নাটক’​

ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ; আনুশকাকে ডেকে নেয় বান্ধবী

বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/ওয়াইএ