ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

শিক্ষাখাতে বিশেষ বরাদ্দসহ রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২১, ১৮:৫৪

শিক্ষাখাতে বিশেষ বরাদ্দসহ রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি
ছবি- প্রতিনিধি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আগে ও ক্যাম্পাস খোলার পর সম্ভব্য সমস্যার সমাধান বের করে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ। সেইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে শিক্ষাখাতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে তারা।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে এসব দাবি তুলে ধরেন প্রগতিশীল বামধারার ছাত্র সংগঠনসমূহ। সমাবেশের সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পেষণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রোডম্যাপ ঘোষণা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের ভেকসিন নিশ্চিত করার দাবি উপস্থাপন করে সংগঠনসমূহ।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের সভাপতি মাসুদ রানা আজ বিকেলে দেয়া শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে কোনো চাপ নেই। কিন্তু এদিকে পত্র-পত্রিকায় আমরা দেখছি, অবিভাবকদের কি পরিমাণ উদ্বিগ্নতা। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত, ইন্টারনেট, অনলাইন গেমে আশক্ত হয়ে পড়ছে, মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ছে এবং বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

মাসুদ রানা আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, অনলাইন সুবিধা বাড়ছে। কিন্তু আমরা দেখছি গাছে উঠে শিক্ষার্থীরা নেটওয়ার্ক পাওয়ার চেষ্টা করছে। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, অনুকূল পরিস্থিতি যতদিন হয়নি, ততদিনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেনডামিক কতদিন চলবে তা আমরা নির্ধারিত করে বলতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘সামনে বড় বরাদ্দ আসছে। কালো টাকা সাদা করার জন্য অনেক সুবিধা থাকবে, কিন্তু শিক্ষাখাতের বেলায় কোনো বিশেষ বরাদ্দ থাকবে না?’

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (একাংশ) সভাপতি মিতু সরকার বলেন, ‘করোনায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের জীবন এখন ধ্বংসের দারপ্রান্তে। শিক্ষামন্ত্রী বারবার তার বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়েছে, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা কী ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হবে তার কোন ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে পারেননি।’

ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সমস্যা সৃষ্টি হবে, তার সম্ভব্য কোনো সমাধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করেনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারগুলোর এমন অবস্থা যে, সেখানে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে ভর্তি করানো সম্ভব নয়।’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্ভব্য সমস্যার সমাধান নিয়ে রোডম্যাম ঘোষণা করার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মাইনুদ্দীন বলেন, ‘দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, গেমে আশক্ত হচ্ছেন, গ্রামের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা পারিবারিক কাজকর্মে পড়ালেখার প্রতি অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে।’ শিক্ষাখাতে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের টিকার আওতায় আনতে বিশেষ বরাদ্দের আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত