আদালতে যাচ্ছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা
এমপিওভুক্তির দাবিতে আদালতে যাচ্ছেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক। এমপিওভুক্তির প্রয়োজনে তারা আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার।
মাহমুদুন্নবী ডলার জানান, এমপিওভুক্তির জন্য প্রয়োজনে আদালতে যাবার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে তারা উচ্চআদালতে রিট দায়ের করবেন।
`দাবি আদায় না করে আমরা বাড়ি ফিরে যাবো না` উল্লেখ করে ডলার আরও জানান, `স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে এর আগে কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। এখন আমরা সেই আশ্বাসের বাস্তবায়ন চাই। এপর্যন্ত মোট ২০০ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা এখন আর চিকিৎসা নিবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।`
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন গত ১০ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে বিপরীত পাশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। পরে ২৫ জুন থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন এই নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির জন্য গঠিত দুই কমিটিও কাজ শুরু করেছে।
এ ছাড়া, গত মঙ্গলবার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে বিধিগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে এমপিওভুক্তি করার ঘোষণা পুনরাবৃত্তি করেছেন বুধবার। সংগঠনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫ হাজার ২৪২টি। এ ছাড়া সরকার নতুন করে ১৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিসহ মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার ৩৭৩টি।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ও অনশন শুরু করলে গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানের আশ্বাসে ঘরে ফিরে যান তারা। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থ বরাদ্দ না করায় ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। ২০১০ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত বন্ধ রয়েছে।
