ঢাকা, রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিষ্যকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা, যা বললেন রাহাত ফতেহ আলী খান

  বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩২

শিষ্যকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা, যা বললেন রাহাত ফতেহ আলী খান
রাহাত ফাতেহ আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান এক ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করছেন; এ রকম একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গোলাম আব্বাস শাহ নামে এক গণমাধ্যমকর্মী রাহাত ফতেহ আলী খানের নৃশংসতার ভিডিওটি এক্সে পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে মারতে মারতে রাহাত বলছেন, ‘আমার বোতল কোথায়?’ আর এরপরই ক্রমাগত ওই ব্যক্তিকে মারতে শুরু করেন গায়ক।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে আরও অনেকে উপস্থিত রয়েছেন। তবে সেখানের কেউই গায়ককে আটকাতে পারেননি। এদিকে যিনি মার খাচ্ছিলেন, তাকে বারবার গায়কের কাছে ক্ষমা চাইতে দেখা যায়। বারবার বলতে শোনা যায়, ‘আমার কাছে কোনো বোতল নেই স্যার।’

সেখানে আরও দেখা যায়, এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির মাথা ঝুঁকিয়ে জুতা দিয়ে একের পর এক বাড়ি মারছেন। আর বলছেন, ‘বোতল কোথায়?’ জবাবে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায়, ভিডিওতে যিনি জুতাপেটা করছেন, তিনি রাহাত ফতেহ আলী খান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে অনেকে মনে করছিলেন, গৃহকর্মীকে এমন মারধর করছেন রাহাত, যা নিয়ে ঘোর নিন্দাও প্রকাশ করছে নেটিজেনরা।

তবে সমালোচনার মুখে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলী খান। জানিয়েছেন, গৃহকর্মী নয়, বরং ওই ব্যক্তি তার শিষ্য। রাহাত বলেন, ‘এটা গুরু ও শিষ্যের মধ্যকার ব্যক্তিগত বিষয়। সে আমার ছেলের মতো। একজন শিক্ষক ও তার ছাত্রের মধ্যে সম্পর্ক এমনই। কোনো ছাত্র ভালো কিছু করলে, আমি তাকে ভালোবাসা দিই। যদি সে ভুল করে, তাকে শাস্তি দেওয়া হয়।’

মার খাওয়া ছাত্রও জানিয়েছেন, তিনি একটি বোতল ভুল জায়গায় রেখেছিলেন, যেটার ভেতরে পবিত্র পানি ছিল। তার ভাষ্য, ‘তিনি (রাহাত) আমার বাবার মতো। আমাকে অনেক ভালোবাসেন। যিনি ওই ভিডিও ছড়িয়েছেন, তিনি আমার গুরুর সম্মানহানির চেষ্টা করছিলেন।’

তবে এ ঘটনাই প্রথম বিতর্ক নয়, রাহাত ফতেহ আলী খান এর আগেও একটি বিতর্কে জড়ান। ২০১৯ সালে, গায়কের বিরুদ্ধে তিন বছর ধরে ভারতে অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, শিল্পী অবৈধ উপায়ে ২ কোটি ৪২ লাখ রুপি লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি ১ কোটি ৬ লাখ রুপি পাচার করেছেন বলেও তখন জানা গেছে।

পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের বাসিন্দা ফতেহ আলী খান সুপার-হিট গান ‘জিয়া ধড়ক ধড়ক’-এর পরে ভারতে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তারপর তিনি ‘তেরে মাস্ত মাস্ত দো নাইন’ (দাবাং), ‘তেরি ওর’ (সিং ইজ কিং), ‘সাজদা’ (মাই নেম ইজ খান), ‘তেরি মেরি’ (বডিগার্ড) এবং ‘জাগ ঘুমেয়া’ (সুলতান)-সহ ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্রের জন্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত