ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

১০০ বছর পর মসজিদে ঈদের নামাজ পড়লেন মুসলিমরা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৫

১০০ বছর পর মসজিদে ঈদের নামাজ পড়লেন মুসলিমরা
সংগৃহীত ছবি

অটোম্যান শাসনামলে তৈরি গ্রিসের থেসালিনিকির ঐতিহাসিক ইয়েনি যামি মসজিদ ১০০ বছর পর নামাজের জন্য খুলে দিয়েছে গ্রিস সরকার। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ এপ্রিল) মসজিদটি খুলেই ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসলিমরা। এ খবর জানিয়েছে এপি নিউজ, দি ইকোনোমিকস টাইমস, ওয়াসিংটনপোস্ট, ইরান প্রেস।

জানা গেছে, মুসলিমরা ১০০ বছর আগে গ্রিসে যুদ্ধে হেরে যাওয়ায় অনেক মসজিদ বন্ধ করে দেয় অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ঐতিহাসিক ইয়েনি যামি মসজিদ। দেশটিতে গত শতক থেকেই বহাল থাকলেও সম্প্রতি মত পাল্টায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। ফলে বুধবার (১০ এপ্রিল) খুলে দেওয়া হয় মসজিদটি। পরে মুসলিমরা এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এদিন ৭০ হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ অংশ নিয়েছেন।

এক শতাব্দি পূর্বে ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল ডনমেহ সম্প্রদায়ের মানুষ। আর তাদের জন্য অটোম্যান শাসকরা এ মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৯০২ সালে তৈরি মসজিদটির স্থাপত্যে দেখা মেলে ইসলামিক কারুকার্যের। ইতালিয়ান স্থপতি ভিতালিনো পোসেলির হাত ধরেই গড়ে ওঠে মসজিদটি। ১৯২৩ সালে গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে দুই দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিনিময় হয়। ফলে ইয়েনি যামি মসজিদটিতে নামাজ আদায় বন্ধ হয়ে যায়। পরে এটি কখনো ব্যবহার হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র, কখনো জাদুঘর হিসাবে। আবারও মসজিদটি খুলে দেওয়ায় দেশটির মুসলিমরা ফিরে পেয়েছেন হারানো ঐতিহ্য।

এ প্রসঙ্গে এআই গ্রিসো নামের এক গ্রিস নাগরিক বলেন, আমাদের দেশে ৯৮ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ২ শতাংশ মুসলিম বসবাস করেন। এবারের ঈদে প্রায় এক শতাব্দী আগের বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাচীন মসজিদ খুলে দেওয়ায় প্রমাণ করে গ্রিসে মুসলিম আর সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

এ সময় এক মুসল্লি বলেন, গ্রিস সরকার জানিয়েছিল, একশো বছর পর মসজিদটির দরজা খুলে দেওয়া হবে। তাই নামাজ পড়তে এসেছিলাম। প্রায় ৬৩ বছর যাবৎ এখানে আছি, এতদিন এটাকে জাদুঘর হিসেবে চিনলেও, জানতাম না এটা একটা মসজিদ।

প্রসঙ্গত, অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ইউরোপের দেশটিতে ২০২০ সাল পর্যন্তও মুসলিমদের জন্য কোনো মসজিদ ছিল না। ভোটানিকোসে প্রথম সরকারিভাবে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয় ২০২০ সালে। যেটি পুরোপুরি চালু রয়েছে। এ ছাড়া এথেন্সের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশিসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মুসলিম কমিউনিটিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য মসজিদ রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত