ঢাকা, রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কলকাতায় পেঁয়াজে সেঞ্চুরি, ডবল সেঞ্চুরি রসুনের

কলকাতায় পেঁয়াজে সেঞ্চুরি, ডবল সেঞ্চুরি রসুনের

কলকাতায় পেঁয়াজের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। পশ্চিববঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সোমবার নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। তবে দাম আরো বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বসে নেই রসুনও। স্থানীয় বাজারে এটি ২০০ টাকা কেজি ব্রিক্রি হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

সোমবার সকালে কলকাতার কোলে মার্কেটের নফরবাজার পেঁয়াজপট্টিতে ৫০০ টাকা করে পাল্লা কিনেছেন ক্রেতারা। সেখানকার পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, মঙ্গলবার থেকে পাল্লাপিছু দাম সাড়ে ৫০০ টাকা হবে। যার অর্থ কেজিপ্রতি ১০ টাকা মার্জিন রেখে পেঁয়াজ বিক্রি করতে গেলে খুচরা বিক্রেতাকে তা কমপক্ষে ১১৫ বা ১২০ টাকায় বেচতে হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ৭০, শুক্রবার ৮০, শনি ও রোববার ৯০ এবং সোমবার ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কলকাতার বাজারে।

মঙ্গল ও বুধবার আরও ১০ টাকা করে বেড়ে স্মরণাতীতকালের মধ্যে পেঁয়াজ ১২০ টাকা ছুঁতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন কলকাতার বিক্রেতারা।

তবে কেবল পেঁয়াজ নয়, পশ্চিবঙ্গের মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া বর্ধমান, হুগলি-সহ সব জেলাতেই অন্যান্য সব্জির দামও আকাশ ছুঁয়েছে। দাম কমাতে সপ্তাহ দুয়েক আগে নবান্নে বিভিন্ন দপ্তরের কর্কমর্তা ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও দাম কমেনি সব্জির। উল্টো পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে। আর কলকাতায় ডবল সেঞ্চুরি করেছে রসুন। সেখানে খুচরা বাজারে রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। এর কোনো কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

পশ্চিমবঙ্গে পেঁয়াজ সেভাবে উৎপাদন করা হয় না। কলকাতার চাহিদা মেটানোর জন্য মূলত মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসা হয়। তবে এ বছরে অতিবৃষ্টির কারণে মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে পেঁয়াজ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার প্রভাব পড়েছে উৎপাদনের ওপর।

ফলে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়ছে। মে মাসের আগেও খুচরা বাজারে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। তা বেড়ে একশ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ভারতের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রুখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপরে বিনিষিধেষ আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এদিকে কলকাতার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি মৌসুমের পেঁয়াজের এটাই শেষ স্টক। আপাতত আর জোগান নেই। কিন্তু চাহিদা বরাবরের মতো একই আছে। তাই পেঁয়াজের এত দাম।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত