ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ইউটিউবে, ভুয়া সাংবাদিক কারাগারে

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৬

ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ইউটিউবে, ভুয়া সাংবাদিক কারাগারে
সংগৃহীত ছবি

সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদে আটকে এক কলেজ ছাত্রীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করার দায়ে পর্নােগ্রাফি আইনের মামলায় ভুয়া সাংবাদিক জীবন মাহমুদ ডাবলু (৩৮) আদালতে আত্মসমর্পণ ও জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীম এই আদেশ দেন। জীবন মাহমুদ ডাবলু কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া গোশালা রোডের বাসিন্দা কাওসার উদ্দিনের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে ভিকটিম বাদী হয়ে সরসরি আদালতে এসে একজনের নাম উল্লেখ করে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি নালিশী মামলা করেন। সিআর মামলা নং ৭০৭/১৮। অভিযোগের সত্যতা যাচায়ে তদন্তের ভার দেয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডির এসআই প্রতাপ অভিযোগের তদন্ত শেষে ৪ জন আসামির জড়িত থাকার প্রমাণসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইন ৮ এর ১,২ ও ৩ ধারা দণ্ডবিধিতে অভিযোগ এনে ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

অপর আসামিরা হলেন- নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সিরামপুর গ্রামের আনিসুর রহমান সরকারের ছেলে নাসির উদ্দিন, কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া ছয়রাস্তা মোড়ের মজিবর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম এবং কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন নুপুর।

মামলার বাদী কুমারখালী উপজেলার কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেন, কখনো বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা-লোগো, কখনো বা বিভিন্ন পত্রিকার পরিচয়পত্রসহ সাংবাদিক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে আসামি ডাবলু। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে আটকে আমাকে দিনের পর দিন ব্লাকমেইল করে বাধ্য করেছে ওর কথা মতো চলতে। এরপর আমি যখন বুঝতে পারি ডাবলু কোন সাংবাদিক নয়, একটা ভণ্ড প্রতারক, তখন ওর ভয় ও হুমকি উপেক্ষা করে সরে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে সর্বশেষ বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইউটিউবে ছেড়ে দিয়ে। আমিও দেখলাম আমার শেষ রক্ষা যখন হয়নি, তাহলে আমিই বা ওকে ছেড়ে দিবো কেন? নানাভাবে বাধার মুখেও আমি বিচার চেয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছি।

বাদিনীর অভিযোগ বিষয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জামিল হাসান খান খোকন জানান, জীবন মাহমুদ ডাবলু আমার ক্যামেরা পারসন হিসেবে ওর কাছে ক্যামেরা লোগো থাকতেই পারে। এর মানে এই নয় যে, পর্নোগ্রাফি অপরাধের দায় নিউজ টোয়েন্টিফোরের উপর বর্তায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির এসআই প্রতাপ কুমার জানান, এই মামলায় বাদী তার আরজিতে একজনের নামোল্লেখসহ আদালতে নলিশী অভিযোগ করলেও তদন্তে মোট ৪ জন আসামির সম্পৃক্ততা বেড়িয়ে এসেছে। আসামি জীবন মাহমুদ ডাবলু আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও অপর ৩ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর আছেন। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সৌপর্দ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত