ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সবদেশের স্বাস্থ্যখাতই সমালোচনার মুখে: তথ্যমন্ত্রী

  নিজস্ব প্র‌তিবেদক

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২০, ১৭:০৯

সবদেশের স্বাস্থ্যখাতই সমালোচনার মুখে: তথ্যমন্ত্রী

কোনো দেশই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিলো না, ফলে সবখানে পর্যদুস্ত অবস্থা হয়েছে এবং সবদেশের স্বাস্থ্যখাতই আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে এবং হচ্ছে ব‌লে মন্তব্য ক‌রে‌ছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এসময় ‘করোনা মহামারি মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে জাতীয় সংসদসহ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা’ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী একথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এবং তাদের অর্থনৈতিক সংগতি আমাদের চেয়েও অনেক ভালো থাকা সত্ত্বেও তারা করোনা মহামারি ঠিকভাবে সামাল দিতে পারেনি, কারণ এটার জন্য কেউই এমনকি চীনও প্রস্তুত ছিল না। চীনে যে চিকিৎসক করোনাভাইরাসের বিষয়ে প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ও তিনি পরে করোনাক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। প্রত্যেক দেশেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিস্থিতিতে নানাভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নিজেই পদত্যাগ করেছেন। জার্মানির একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আরো অনেক দেশেই এ ঘটনা ঘটেছে।

আমাদের দেশের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রথমদিকে যে সমস্ত অসুবিধা ছিল, সমন্বয়েও কিছুটা ঘাটতি ছিল, সেটি এখন আর নেই। এখন অনেক সমন্বিতভাবে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং সে কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে ক’টি দেশে খুব কম তারমধ্যে একটি।

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সংসদে যে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, সেটিকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যেভাবে আলোচনা হয়েছে, এটিই ‘বিউটি অফ দ্য ডেমোক্রেসি’। এভাবেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র এগিয়ে যায়। আমি মনেকরি সংসদের আলোচনাটি দায়িত্ব পালনে এবং গণতন্ত্রকে সংগত করার ক্ষেত্রেও সহায়ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি করবেন সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই বলতে পারবেন, অন্য কেউ বলার এখতিয়ার রাখে না, বলতে পারবেও না।

‘সরকার পাটখাত ধ্বংস করছে’ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের এ বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিই পাটখাত ধ্বংস করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল এবং প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। বিএনপির আমলে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র পরামর্শ অনুযায়ী তারা আদমজীসহ অনেকগুলো জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিল, আবার অনেকগুলো শতশত কোটি টাকা মূল্যের জুট মিল কয়েক কোটি টাকায় ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। এটি শুধু বেগম খালেদা জিয়া করেছেন তা নয়, জিয়াউর রহমানের আমল থেকে সেটি শুরু হয়েছিল।

বর্তমান সরকার কোনো পাটকল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বরং এই পাটকলগুলো ৪০ বছর ধরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লাভ করতে পারেনি এবং শ্রমিকরাও সঠিকভাবে বেতন পাচ্ছিল না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই পাটখাতকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে এবং এই পাটখাতে উন্নতির জন্য সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সমস্ত দেনা-পাওনা মিটিয়ে দিয়েই তাদেরকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের আওতায় আনা হচ্ছে।

ট্রান্সকম গ্রুপ ও দৈনিক প্রথম আলো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিডিয়াস্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিজস্ব বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান তার শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত