ঢাকা, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ক্ষুব্ধ জনগণ চড়া মাশুল আদায় করে নিবে: ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:২২

‘ক্ষুব্ধ জনগণ চড়া মাশুল আদায় করে নিবে’
ফাইল ছবি

গণগ্রেপ্তার ও সাজানো মামলায় কারাদণ্ড বন্ধ করা না হলে সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ জনগণ চড়া মাশুল আদায় করে নিবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। উচ্চ আদালত কর্তৃক বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সাজা বহাল রাখার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারাদেশে প্রতিদিন যেভাবে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থের মামলা দায়ের করে গণগ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে এবং সাজানো মামলায় কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে- তা অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ জনগণ এজন্য চড়া মাশুল আদায় করে নিবে। মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় উচ্চ আদালত কর্তৃক মীর হেলালের সাজা বহাল রাখার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরতিহীনভাবে হয়রানি করে চলেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী করে, বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়ণের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মৃতপ্রায় করে ফেলেছে এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার আয়োজন শুরু হয়েছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালতে বহাল রাখা হলো।

মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সাজা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের চক্রান্তেই সাজানো মামলায় এই সাজা দেয়া হয়েছে। যদিও ২০১০ সালে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ দু’জনকে খালাস দেয়। কিন্তু সরকার আপীল করে পুনরায় বিচারের জন্য হাইকোর্টের ফেরত পাঠান। এই ঘটনাতেই প্রমাণিত হয় যে, সরকার বিএনপি নেতাদের ধ্বংস করার জন্য নানাভাবেই চক্রান্ত এটে চলেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের বিরোধী শক্তিকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিজেদের একচ্ছত্র ক্ষমতা দীর্ঘ মেয়াদে ভোগ করতে চায়। এই কারণেই বিরোধী দলের ওপর দমন-নিপীড়ণ, হামলা মামলার পথ অনুসরণ করতে সরকার দ্বিধাহীন ও বেপরোয়া। দেশের মানুষকে, গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে দেশকে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যকর অমানিশার মধ্যে নিপতিত করছে সরকার।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে/কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত