ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ, মুক্তিযোদ্ধা ও তার মেয়েকে নির্যাতন

  বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০১৮, ২১:৪৪

ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ, মুক্তিযোদ্ধা ও তার মেয়েকে নির্যাতন

ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে খালেদা নামে দুই সন্তানের এক জননীকে শারীরিক নির্যাতন করে তার নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে গেছে একাধিক মামলার আসামি মাদক শহিদ (৪০)। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারবৃদ্ধ পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হানেফ কাজীকে ও মারপিট করেছে দুর্বৃত্তরা।

মারাত্বক আহত হয়ে শার্শার নাভারন বুরুজ বাগান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা ও তার পিতা হানেফ কাজী। খালেদা বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘিরপাড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হানেফ কা জীরমেয়ে। ধর্ষন চেষ্টাকারী শহিদ বেনাপোল পোর্ট থানার কাগমারি গ্রামের শওকাত হোসেনের ছেলে।

খালেদা জানান, রবিবার বিকালে তার বাসায় তার বৃদ্ধ পিতা ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। তার স্বামী একটি মামলায় যশোর জেলখানায় রয়েছে। এ সুযোগ কাগমারী গ্রামের একাধিক মামলার আসামী ফেনসি শহীদ ও তার সহযোগী একই গ্রামের বাবলুর ছেলে মানিক ও বাবর আলীর ছেলে রনি এসে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। শহীদের কুপ্রস্তাবে সে রাজী না হলে তাকে জোর করে ধরে মুখে কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এরপর তার সহযোগী মানিক ও রনি তার পিঠে লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মেঝেতে ফেলে রেখে চলে যায়।

এ সময় তার বৃদ্ধ বাবা ঠেকাতে আসলে তার পেটে আঘাত করলে পেট কেটে রক্ত বের হয়। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে এ ব্যাপারে মামলা করবে বলেজানায় খালেদা।

আহত খালেদার পিতা হানেফ কাজী জানান, শহীদ যখন তার বাড়িতে প্রবেশ করে তখন তার কোমরে পিস্তল ছিল। আর অন্য দুইজনের হাতে হাতুড়ি ও লোহার রড ছিল। এরপর দুর্বৃত্তরা তার ওয়ার্ডড্রপ ভেঙ্গে ৪১ হাজার টাকা, এক জোড়া কানের দুল, এক জোড়া হাতের রুলী ও একটি আংটি নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) ফিরোজ উদ্দিন বলেন, শহীদ একাধিক মামলার আসামি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। গৃহবধু ও তার পিতাকে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত