ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

এমপিওভুক্তির দাবিতে অনড় শিক্ষকরা, বৃষ্টির মধ্যেও চলছে আন্দোলন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০১৮, ১৫:৫৯  
আপডেট :
 ২৩ জুন ২০১৮, ১৬:০০

এমপিওভুক্তির দাবিতে অনড় শিক্ষকরা, বৃষ্টির মধ্যেও চলছে আন্দোলন

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনো অনড় নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন। তারা দেশের সব স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার উত্তর পার্শ্বে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছে।

বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষক-কর্মচারীরা এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। ‘কেউ খাবে, কেউ খাবে না; তা হবে না তা হবে না’, ‘এমপিও না হলে, ঘরে ফিরে যাবো না’, ‘এক দফা এক দাবি, এমপিও কবে দিবি’ -এমন নানা স্লোগান লেখা প্লাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার ঝুলিয়ে তারা বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন।

নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায়বলেন, আজকের প্রতীকী অনশন শেষে কাল সরকার কী করে, তা তাঁরা দেখবেন। কালকের মধ্যে যদি কোনো সিদ্ধান্ত না পান, তাহলে তাঁরা আগামী সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করবেন। এর আগে ১০ জুন থেকে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এর মধ্যে ২১ জুন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার এবং তাঁদের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের সাংসদদের স্মারকলিপি দেন। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলারবলেন, আমরা টানা ১৪ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও এখনও আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হয়নি। আজ প্রতীকী অনশন পালন করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হলে আগামীকাল রোববার থেকে আমরণ অনশন শুরু হবে।

তিনি বলেন, রাজপথে খোলা আকাশের টানা ১৪ দিন আন্দোলন করে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার ওপর আমরণ অনশন কর্মসূচি পালিত হলে অনেক শিক্ষক গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়বে। এতে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবির বিষয়টি অবহিত করে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। দাবি আদায় ছাড়া আমাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের যোগদানের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। আমরা ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে শিক্ষাকতা করছি। এখন যদি ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয় তবে আমাদের কী পরিণতি হবে? আমরা কোনো নীতিমালা বা কমিটি মানি না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা না তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান তারা।

শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিক্ষক-কর্মচারীরা খোলা আকাশের নিচে অনশন করছেন। তারা বলছেন, এবার দাবি পূরণ ছাড়া তারা বাড়ি যাবেন না।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত