ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাংলাদেশি ‘সুখী বড়ি’র ধাক্কায় কুপোকাত ভারতের মালা-ডি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৩ মে ২০১৮, ১৬:১৬  
আপডেট :
 ১৩ মে ২০১৮, ১৬:২১

বাংলাদেশি ‘সুখী বড়ি’র ধাক্কায় কুপোকাত ভারতের মালা-ডি

ভারতের আসামে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্যটির বিভিন্ন সংগঠনের। ঠিক সেই সময়েই রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের সমীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, আসামে জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে বাংলাদেশ-ই! সমীক্ষা বলছে, রাজ্যের নারীরা বিশেষত, বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকায় গর্ভনিরোধক হিসেবে ভারতীয় ‘মালা-ডি’ নয়, নির্ভর করে বাংলাদেশি ‘সুখী’-র উপরেই।

বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা এই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট ‘সুখী’ কিন্তু ভারতে স্বীকৃত নয়। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের কীই বা এসে যায়! চাইলেই মালা-ডি পাওয়া যায় না। সরবরাহ প্রায় নেই। অথচ হাতের কাছে অঢেল ‘সুখী’। বাংলাদেশে বিনামূল্যে দেয়া হলেও ভারতে পাচার হয়ে আসা দশটি ট্যাবলেটের ‘সুখী’র একটি পাতার দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা। অথচ বাজারে পাওয়া যায়, এমন গর্ভনিরোধকের প্রতি পাতার দাম পড়ে ৭৫ থেকে ১০০ টাকা।

আসামে জন্মনিয়ন্ত্রণ, প্রসূতি মৃত্যুসহ নারী স্বাস্থ্যের উপরে সাম্প্রতিক এক আলোচনা সভার সূত্র ধরে সামনে এসেছে এই তথ্য। গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান আর কে তালুকদার জানান, রাজ্যের হাসপাতালে ভারতীয় গর্ভনিরোধক বড়ির অনিয়মিত সরবরাহ এবং ওই বড়ি নিয়ে ছড়ানো বিভিন্ন গুজবের ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার নারীরা বাংলাদেশ থেকে আসা সুখীকেই বেছে নিচ্ছেন।

তাঁর কথায়, ‘সুখীর রাসায়নিক গঠন মালা-ডির মতো হলেও যেহেতু ভারতীয় পরীক্ষাগারে ওই ট্যাবলেটকে যাচাই করে প্রশংসাপত্র দেয়া হয়নি, তাই সুখী না খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।’

সরকারি সমীক্ষা বলছে, জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আসামের ২২ শতাংশ নারী গর্ভনিরোধক বড়িতেই আস্থা রাখেন। কনডমের ব্যবহার মাত্র ২.৭ শতাংশ। রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ৩০০ জন, যা জাতীয় হার ১৬৭ জনের প্রায় দ্বিগুণ।

সুখীর ব্যবহার শুধু আসাম নয়, পশ্চিমবঙ্গেও প্রচুর। মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তা সুজয় রায় জানান, উত্তরবঙ্গেও বিভিন্ন এলাকায় সুখী বহুল প্রচলিত। সেখানকার দোকানগুলো ‘বেআইনি’ জেনেও সুখী বিক্রি করছেন।

জানা যায়, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় মালা-ডি’র চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় ‘সুখী’। যদিও পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অবশ্য সুখী-র রমরমা বাণিজ্য মানতে নারাজ।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

ডিপি/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত