তিন মাসের মাথায় গভর্নর আনোয়ার চৌধুরী বরখাস্ত
দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মাথায় ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর পদ থেকে বরখাস্ত হয়েছেন আনোয়ার চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কয়েকটি অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাময়িক এ বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়েছে।
বুধবার তাকে ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসে ফেরত ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আগামী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ আনোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহের তদন্ত চলবে। এ সময় পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই অবস্থান করবেন।
আনোয়ার চৌধুরী ছিলেন প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশি তথা এশিয়ান যিনি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত কোনো আইল্যন্ডের প্রধান বা গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মাইল দূরত্বে অবস্থিত এ দ্বীপপুঞ্জের গভর্নর হিসেবে ২৬ মার্চ রাজকীয় মর্যাদায় আনোয়ার চৌধুরীকে বরণ করে নেয় দ্বীপবাসী। এর তিন মাসের মাথায় বুধবার কেইম্যানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ার চৌধুরীর বরখাস্তের খবর জানানো হলেও কি কারণে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
যুক্তরাজ্য সরকারের ওভারসিস মিনিস্টার লর্ড নাজির আহমদ গর্ভনর পদ থেকে আনোয়ার চৌধুরীকে প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কয়েকটি অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে গভর্নর আনোয়ার চৌধুরীকে কেইম্যান আইল্যান্ড থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার (আনোয়ার চৌধুরী) বহিস্কারের বিষয়ে আইল্যান্ডের ডেপুটি গর্ভনর ফ্র্যাঞ্জ ম্যান্ডারসনকে অবহিত করা হয়েছে এবং তাকে ভারপ্রাপ্ত গভর্নরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও আইল্যান্ডের স্পিকার, কেবিনেট, সরকার ও বিরোধী দলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হিসেবে আনোয়ার চৌধুরী অনেকটা রোল মডেল বিবেচিত। বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি দেশে-বিদেশে পরিচিতি পান। তিনি ২০১৩ সালে পেরুতেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন বিভাগের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এমএ/