হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিচ্ছেন আফগানরা
সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সব ধরনের হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিচ্ছেন আফগান ভোটাররা। শুরু থেকেই দেশটিতে গত ৩ বছর পর হওয়া এই ‘ভুয়া’ নির্বাচন বানচালের হুমকি দিয়েছিল তালেবানরা। তারা দেশবাসীর প্রতি এই নির্বাচন বর্জনেরও আহ্বান জানিয়েছিল।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটাররা দীর্ঘ লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন এবং নারী ভোটারদের সংখ্যাও বেশ সন্তোষজনক।
২০১৫ সালের পর অনুষ্ঠিত এই পার্লামেন্ট নির্বাচনে তালিকাভুক্ত মোট বৈধ ভোটরের সংখ্যা ৯০ লাখ। ২০০১ সালে তালেবানদের পতনের পর আফগানিস্তানে এটি তৃতীয় দফা নির্বাচন।
কড়া নিরাপত্তার ভিতর দিয়ে ভোট দিচ্ছেন আফগানরা। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানাচ্ছে, ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার জন্য সারা দেশে ৭০ হাজারের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ কারণে প্রায় দুই হাজার কেন্দ্রে ভোট দিতে পারছেন না আফগানরা।
বৃহস্পতিবার কান্দাহারে দেহরক্ষীর গুলিতে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জেনারেল আবদুল রাজ্জাকের মৃত্যুর পর প্রদেশটির ভোট এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোট হচ্ছে না তালেবান নিয়ন্ত্রিত গিজনি প্রদেশেও।
ওই হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন মার্কিন কমান্ডার জেনারেল স্কট মিলার। আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকের পর হওয়া ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবানরা।
গত সেপ্টেম্বরে এই পার্লামেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন জনসভা ও প্রচারণা সভাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে জঙ্গিরা। হামলায় একাধিক প্রার্থীসহ বহু মানুষ নিহত হয়েছে।
তাই শনিবার ভোট দিতে আসা ভোটারদের মধ্যেও হামলার আশঙ্কা স্পষ্ট। মোস্তফা নামের ৪২ বছর বয়সী এক ভোটার এএফপিকে জানান, ‘আমি সকাল সকাল ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনও ভোট শুরু হলোনা। আমি এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করে আছি। লাইনও বড় হচ্ছে। এখন ভয় হচ্ছে কখন যেন আমাদের ওপর বোমা হামলা শুরু হয়।’
সূত্র: আল জাজিরা/ডন
এমএ/