ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

হিলিতে ঘন কুয়াশায় মরে যাচ্ছে বোরো বীজতলা

  হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:২১  
আপডেট :
 ১১ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৮

হিলিতে ঘন কুয়াশায় মরে যাচ্ছে বোরো বীজতলা

খাদ্যশস্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। এই জেলার প্রতিটি উপজেলায় আমন ধান কাটার পরেই বোরো বীজতল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেছে এখন কৃষকরা। সঠিক সময়ে বোরো রোপণ ও ভালো ফলনের আশায় খানিকটা তোড়জোড় ভাবেই চলছিলো বীজতলা তৈরির কাজ।

তবে কৃষকের সেই স্বপ্ন করতে শুরু করেছে প্রকৃতির নিয়তি ঘন কুয়াশা ও শৈতপ্রবাহ। ইতিমধ্যে মরতে শুরু করেছে বোরো বীজতলা। তাই আবারো ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে হিলির কৃষকদের।

আগাম বীজতলা তৈরী করলেও ঘন কুয়াশায় স্যাঁতস্যাঁতে ও বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে বোরো চারা। সঠিক সময়ে বোরো রোপণ নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তা পড়েছেন এখানকার কৃষক।

উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ নামের একজন কৃষক জানান, এবার আমি মাঘের শুরুতে ইরি-বোরো রোপণ করতে আগেভাগেই বোরো বীজতলা তৈরি করেছিলাম। তবে ঘন কুয়াশা ও কয়েক দিন পর পর টানা শৈতপ্রবাহের কারণে বীজতলা মরে গিয়েছে।

তিনি আরো জানান, শুধু একবার নয়, আমি তিনবার বীজতলা তৈরি করেছি, তিনবারই বীজতলা মরে গেছে। এবার বোরো রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

কাদিপুর গ্রামের আব্দুল সালাম নামের এক কৃষক জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি। ঘন কুয়াশার কারণে স্যাঁতস্যাঁতে ও বিবর্ণ আকার ধারণ করে মরে যাচ্ছে বোরো বীজতলার চারা। বীজতলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না কোন সুরাহা।

উপজেলার খাট্রাউছনা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান নামের একজন কৃষক জানান, আমরা কিভাবে বীজতলা তৈরি করবো এ ধরনের কোন পরার্মশ মাঠ পর্যায়ে এসে আমাদের কেউ দেয়নি। আমরা নিজেদের মতো করে বীজতলা তৈরি করেছি এখন সেগুলো মরতে শুরু করেছে।

সাগর নামের একজন কৃষক জানান, বীজতলা যেগুলো ভালো হচ্ছে সেই চারা দিয়ে বোরো রোপণ করলে কাঙ্খিত ফলন আসবে না।আমরা এই চারা দিয়ে সঠিক সময়ে বোরো রোপণ করতেও পারবো না।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আরজেনা বেগম জানান, বোরো চারা যাতে নষ্ট না হয় এবং বোরো লক্ষমাত্রা ঠিক রাখতে আমরা উপজেলার কৃষকদের সব ধরণের পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদেরকে রাতের বেলা বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরার্মশ দিয়েছি।

এছাড়া যেগুলো বীজতলা কুয়াশার কারণে স্যাঁতস্যাঁতে ও বিবর্ণ আকার ধারণ করেছে সেগুলোতে কীটনাশক প্রয়োগের পরার্মশ দিয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিস তথ্যমতে, উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আসন্ন ইরি-বোরো রোপণের জন্য ৩৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত