হাত-পা বেঁধে চুল কেটে দিলো শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ২২:২০ আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ২২:৩৭
যৌতুকের দাবিতে মারধর করে স্ত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন স্বামী শাহেদ ফকির ও তার বাবা-মা। পাবনার ভাঙ্গুড়ার উপজেলার খান মরিচ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিতা খাদিজা খাতুন (২৬) থানায় অভিযোগের দায়ের করেছেন। সন্ধ্যায় অভিযুক্ত স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে শ্বশুর-শ্বাশুরি পলাতক রয়েছেন।
নির্যাতিতা খাদিজা জানান, বিবাহিত জীবনে তারা দুই সন্তানের দম্পতি। তার স্বামী নেশা করে এবং পরকীয়ায় আশক্ত। নেশার টাকা যোগাতে তাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকার জন্য মাঝে মধ্যেই চাপ দেয়। এ নিয়ে তাকে প্রায়ই মারেধার করে। এ জন্য খাদিজা বেশ কয়েকবার টাকা এনেও দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারে তাকে যৌতুকের টাকার জন্য আবারও চাপ দিলে খাদিজা টাকা এনে দিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে খাদিজাকে তার স্বামী শাহেদ ফকির, শ্বশুর মালেক ফকির ও শাশুড়ি শাহিদা খাতুন মিলে প্রচণ্ড মারধর করে। শুক্রবার সকালে খাদিজাকে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে তার হাত-পা বাঁধে। এরপর কাঁচি দিয়ে তার চুল কেটে দেয়।
শুক্রবার দুপুরে খাদিজা বাঁধনমুক্ত হওয়ার পর কৌশলে তার স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়ি আশ্রয় নেন। পরে স্বজনদের সহায়তায় ভাঙ্গুড়া থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামী শাহেদ ফকিরকে আটক করে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে তার স্বামী ও দার শ্বশুর-শ্বাশুরিকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর শাহেদ ফকিরকে আটক করা হয়েছে। শ্বশুর-শ্বাশুড়ি পালিয়ে গেছেন। তাদের আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে