ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কেউ শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন না: দুদক

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৩৫

ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কেউ শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন না: দুদক

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, যারা ব্যাংক থেকে জাল-জালিয়াতি করে অবৈধভাবে ঋণ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। কর ফাঁকি দিয়ে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করছেন। আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী তাদেরকে তাড়া করছি। শান্তিতে তাদেরকে ঘুমাতে দেব না।

রোববার রাজধানীর বিসিএস কর একাডেমি মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাগণের ‘আয়কর আইন ও বিধানাবলী’ সংক্রান্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কর আইন সম্পর্কে দুদক কর্মকর্তাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। এ আইন না জানার কারণে বুঝে না বুঝে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারেন। তাই দুদক কর্মকর্তাদের আয়কর আইন এমনভাবে জানতে হবে যাতে আয়কর ফাঁকি দেয়ার প্রক্রিয়া ও কীভাবে তা রোধ করা যায় এবং এভাবে যারা অনুপার্জিত আয় উপভোগ করছেন তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আমলে আনতে পারেন।

তিনি বলেন, আয়কর বা যে কোনো করই জনগণের অর্থ। যারা সরকারের এই পাওনা পরিশোধ করেন না। এই পাওনা আসলে জনগণের অর্থ। পরিশোধ না করা আর্থিক আত্মসাতের শামিল বলে অনেকেই মনে করেন। কীভাবে তারা সরকারি পাওনা না দিয়ে , দম্ভভরে সমাজে মাথা উচু করার সাহস পায়। সমাজে চলাচল করে তা আমার বোধগম্য নয়। এই আত্মসাৎ নিয়ন্ত্রণ করা দুদকের আইনি ম্যান্ডেট। দুদক কখনো তার ম্যান্ডেটের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করে না, করবেও না। আমরা সবাই একত্রে দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করতে চাই। কীভাবে আয়কর না দিয়ে অবৈধ টাকা ঘরে রাখার সাহস পায়। আয়কর বিভাগের সন্দেহ হলে এসব ক্ষেত্রে সার্চ করতে পারে, কি না তা আমাদের জানা নেই। তবে এটা আইনে থাকা উচিত।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, গভীর রাতে এই রাজধানীতে যাদের ছেলে-মেয়েরা বিলাসবহুল গাড়ি চালাচ্ছেন, শত কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে পালিয়েছেন। অথচ তাদের অনেকের আয়কর রিটার্নই নেই। এটা কিভাবে সম্ভব? আমরা এটা বন্ধ করতে চাই। এটা চলতে পারে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও খুবই হতাশাজনক। বাংলাদেশের মানুষ ১৬ কোটি। আমরা জেনেছি আয়কর রিটার্ন জমা দেন ২০ লাখ আর আয়কর প্রদান করেন মাত্র ১২ লাখ মানুষ। এটা লজ্জার বিষয়। আমার বিশ্বাস যে সব সম্মানিত নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই ট্যাক্স রিটার্ন থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। এতে প্রতিটি নাগরিক নিজেকে দেশের মালিক ভাবতে পারবেন। আর ট্যাক্স রিটার্ন থাকলেই আয়কর দিতে হবে বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। যার আয়করযোগ্য আয় নেই তাকে কোনো আয়কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। আমরা চাই আয়কর না বাড়িয়ে ট্যাক্সনেট বাড়ানো হোক। এতে প্রতিটি নাগরিকের সম্পত্তির একটি সঠিক হিসাবের ভিত্তিও পাওয়া যেতে পারে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের পথও সঙ্কুচিত হয়। অনুপার্জিত আয় ভোগ করার প্রবণতা কমে আসবে। দুদকের তদন্ত ও অনুসন্ধানও কিছুটা হলেও সহজ হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন) আরিফা শাহানার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) আলমগীর হোসেন, দুদকের মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) একেএম সোহেল, বিস্এিস কর একাডেমির মহাপরিচালক লুৎফুল আজিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত