ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

রূপগঞ্জে জরাজীর্ণ ইউপি কার্যালয়ে চলছে কার্যক্রম

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৫৫

রূপগঞ্জে জরাজীর্ণ ইউপি কার্যালয়ে চলছে কার্যক্রম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়ায় ২৪ বছরেও হয়নি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের নতুন ভবন। এ কারণে ৪৬ বছরের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ইউপির কার্যক্রম।

শুধু তাই নয়, ভবন না থাকায় স্থানীয় সরকারের সেবাদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।

মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২৭ শতক খাস জমি ইজারা নিয়ে গড়ে উঠেছে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। ১৯৭৪ সালে নির্মিত এ ভবন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার সারাদেশের মতো ইউপি কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তবে তখন অখণ্ড ৫০ শতক নিস্কণ্টক জমির শর্ত পূরণ করতে না পারায় ভবন নির্মাণের বরাদ্দ মেলেনি। সেই শর্ত শিথিল করে পরে ২৫ শতক ঘোষণা করলেও হয়নি জমির ব্যবস্থা।

১৯৭৪ সালে পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান আবু আলী মোকাররম তিন কক্ষের একতলা ভবন নির্মাণ করে দেন। এরপর ১৯৭৭-৮৪ সাল পর্যন্ত মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া, ১৯৮৪-৯২ সাল পর্যন্ত শাহজাহান ভুঁইয়া, ১৯৯২-৯৮ সাল পর্যন্ত সামসুজ্জামান, ১৯৯৮-০৩ সাল পর্যন্ত জামালউদ্দিন, ২০০৩-১১ সাল পর্যন্ত গোলাম ফারুক খোকন, ২০১১-১৬ সাল পর্যন্ত বরকত উল্যাহ মুড়াপাড়া পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তাদের প্রত্যেকে অর্থবিত্তের মালিক হলেও মাত্র ২৫ শতক জমির ব্যবস্থা করতে না পারায় ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি নির্বাচনে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা নানাভাবে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন। অথচ একটি ভবনের জন্য মাত্র ২৫ শতক জমি ক্রয় করে দিতে পারেন না। এটা লজ্জাজনক।

ইউপি সচিব গোলবক্স ভুঁইয়া বলেন, দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং ভবনের পলেস্তারা ধসে পড়ে মাথায়। এটা স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ নয়। এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমর একজন চেয়ারম্যান, একজন সচিব, তিনজন নারী সদস্য, ৯ জন ওয়ার্ড মেম্বার, ছয়জন গ্রাম পুলিশ কাজ করছি। সেবা নিতে আসা লোকজনও এ ঝুঁকির বাইরে নয়। এ অবস্থায় একটি নতুন ভবন জরুরি প্রয়োজন।

এদিকে, ২০১৬ সাল থেকে পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তোফায়েল আহমেদ আলমাছ। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হলেও নতুন ভবন নির্মাণে তিনিও কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।

তোফায়েল আহমেদ আলমাছ বলেন, ভবন করতে হলে নিস্কণ্টক মানে ইউনিয়ন পরিষদের নামে দলিলকৃত ২৫ শতক জমি থাকতে হবে। আমাদের তা নেই। ফলে ভবন করে দিচ্ছে না সরকার। ইজারা নেওয়া কোনো জমিতে ভবন দেয় না সরকার। তবে ব্যক্তি উদ্যোগে এ সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় এক শতক জমির দাম ১০ লাখ টাকার ওপর। এতে ২৫ শতক জমি ক্রয়ে আড়াই কোটি টাকার ওপর খরচ হবে। এ বিপুল অর্থ ব্যয় করা একার পক্ষে সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া জানান, তার সময়ে মুড়াপাড়া পরিষদের বর্তমান ভবন অনেকটা নতুন ছিল। ফলে ভবনের প্রয়োজন হয়নি। বর্তমানে একটি ভবন খুবই প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, তৃণমূলের সাধারণ লোকজন সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সেবা নিয়ে থাকে। তাই স্থানীয় বিত্তশালীরা জমি সংকট নিরসনে এগিয়ে এলে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে সমস্যা হবে না।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত