ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনার উপসর্গ নিয়ে নিহতের পরিবারের সবাই সুস্থ আছেন

  নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২০, ২০:৪২

করোনার উপসর্গ নিয়ে নিহতের পরিবারের সবাই সুস্থ আছেন

নড়াইলে করোনার লক্ষণ নিয়ে গত মঙ্গলবার নিহত যুবক শওকত আলীর পরিবারের সকলেই সুস্থ আছেন। গত দুইদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং কয়েকটি প্রচারমাধ্যমে শওকতের পরিবারের অসুস্থতার খবরে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়।

শুক্রবার সকালে সরেজমিন খোঁজ নিতে গেলে মিডিয়ার খবরকে উড়িয়ে দিয়ে নিজেরা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে দাবি করেন তারা।

শওকতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, শওকতের মৃত্যুর পর তার দেহে করোনার উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত না হয়েও বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে লাল পতাকা ও বাঁশের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে ১৪ দিনের জন্য লকডাইন করে দেয় প্রাশাসন। সেই থেকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিরের পক্ষ থেকে পরিবারটির বাজারসহ দৈনন্দিন চাহিদা বহন করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় গত দুইদিন যাবত কোন কোন মিডিয়া ও ফেসবুকে পরিবারটির অসুস্থতার খবর প্রাচার হতে থাকলে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় লকডাউনে থাকা পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা মিডিয়ার ভুয়া খবরে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করে নিজেরা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে দাবি করেন। এছাড়া পরিবারটির অসুস্থতার খবরে বিস্ময় প্রাকাশ করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সির এহসান হাবিব তুফান।

শওকত সপ্তাহখানেক যাবত কাশি সর্দি-জ্বর পাতলাপায়খানাসহ বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিল। এর এক পর্যায়ে তার ক্রমাগত বমি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই শওকত মারা যায়। এরপর শওকতের দেহে করোনার উপস্থিতি যাচাইয়ে নমুনা সংগ্রহ ছাড়াই ওই রাতেই মৃতদেহটি দাফন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

নড়াইল পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সির এহসান হাবিব তুফান বলেন, নিহত ওমরের পরিবারের সদস্যরা সকলে সুস্থ্য রয়েছে। জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি তদারকি করছেন। নিহতের পরিবারের সদস্যরা ১৪ দিন বাড়িতে অবস্থান করবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে, নড়াইল সদর হাসপাতালের এক স্টাফকে (নার্স) করোনা উপসর্গে ঢাকায় আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছিলো। তিনিও করোনয় আক্রান্ত নন। শুক্রবার ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে পরীক্ষা শেষে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএও) ডা. মশিউর রহমান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত