জামালপুরে বানভাসীদের দুর্ভোগ বেড়েছে
জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২০, ০৩:১৪ আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২০, ০৩:২৪
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বেড়েছে বানভাসীদের দুর্ভোগ। যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও বহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের বন্যায় পানিবন্দি মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর খাদ্য সংকটও প্রকট। ফলে ত্রানের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে।
জামালপুরে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার কমলেও এখনো বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও বাড়ছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, দশআনী, জিঞ্জিরামসহ অন্যান্য শাখা নদ-নদীর পানি। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে পড়ছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার হ্রাস পেলেও এখনো বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়লেও জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে এখনো এক মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে অন্যান্য শাখা নদীর পানি।
জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় জেলার ৮৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২৫টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকারিভাবে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৬০ মেট্রিক টন চাল ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বন্যার পনিতে ডুবে মাদারগঞ্জে কৃষক কমল মিয়া (৫৫), ডুবন্ত সেচ পাম্পের তারে বিদুৎপৃষ্ট হয়ে আরিফ (২৫) ও আখলাছ (৩০) এবং বকশীগঞ্জে পানিতে ডুবে জিসান নামে ২ বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসেবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ৭ জন ও সাপের কামড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমির পাট, আউশ, বাদাম ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
বাংলাদেশ জার্নাল/আর