ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

‘ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২০, ০১:৫৫  
আপডেট :
 ১৫ আগস্ট ২০২০, ০২:০৬

‘ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি’

ঘাতকচক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করতে পারলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধী চক্রের যে কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলায় সবাইকে সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি। তার ত্যাগ এবং তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জাতীয় শোক দিবসে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। ’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীচক্র তাকে হত্যা করে।

তিনি আরও বলে, ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা। এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। তারা ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথকে বন্ধ করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন। বৈদেশিক দূতাবাসে চাকরি দেন। স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব দেন। রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করেন। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করেন। পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকারও একই পথ অনুসরণ করে।

বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ১১ বছরে আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করেছি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। বর্তমান প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যেও আমাদের সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ’

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ হয়েছে। ’

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত