ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্ত্রীকে খুশি করতে পরকীয়া প্রেমিকাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা

  হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:৩০

স্ত্রীকে খুশি করতে পরকীয়া প্রেমিকাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা

বাসায় সাবলেট থাকা তরুণীর সাথে পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন মো. আফসার মিয়া কাওছার। কিন্তু বিষয়টি জেনে ফেলেন কাওছারের স্ত্রী রিপা বেগম। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে রিপা স্বামীর সাথে অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে যান। কয়েকদির পর কাওছার তার স্ত্রীকে বাসায় ফিরিয়ে নিতে চাইলে রিপা বেগম পরকীয়া প্রেমিকা মিষ্টিকে তার জীবন থেকে সরাতে হবে বলে জানায়।

এক পর্যায়ে দু’জন পরিকল্পনা করে মিষ্টিকে মৌলভীবাজার থেকে চুনারুঘাট নিয়ে যান এবং পরিকল্পা অনুযায়ী রাতের আঁধারে যোগী টিলায় নিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ৭ মাস পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। বুধবার হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ নিজ কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাহ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গত ৭ ফেব্রয়ারি চুনারুঘাট উপজেলার যোগীর আসন টিলা থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিচয় শনাক্তসহ ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশের একটি চৌকশ টিম।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে এ হত্যাকাণ্ডে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উৎঘাটন করা হয়েছে নিহত তরুণীর পরিচয়। নিহত তরুণী রোকশানা আক্তার মিষ্টি নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার কামালপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী মজুমদারের মেয়ে।

পুলিশ সুপার বলেন, নিহত মিষ্টি মৌলভীবাজার শহরে একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। হত্যাকাণ্ডের প্রায় একমাস আগে ঘটনাচক্রে আসামি রিপার সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়।

পরে তাদের মধ্যে বাসা ভাড়া নিয়ে কথবার্তা হয়। এক পর্যায়ে রিপা মিষ্টিকে তাদের বাসায় সাবলেট হিসেবে থাকার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি হয় মিষ্টি। পরে মিষ্টি মৌলভীবাজার শহরের দূর্গা মহল্লার রিপার ভাড়া বাসায় ওঠে। এক পর্যায়ে মিষ্টির সাথে পরিচয় হয় রিপার স্বামী কাওছারের। পরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক, যা গড়ায় দৈহিক সম্পর্কে।

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে রিপা তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে তার বাবার বাড়ি শহরতলীর ধুলিয়াখাল এলাকায় চলে যান। এর একদিন পর কাওছার তার স্ত্রীকে অনুরোধ করে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য। এ সময় রিপা তার স্বামী কাওছারকে শর্ত বেধে দেন পরকীয়ার প্রেমিকাকে তার জীবন থেকে সরাতে হবে। এক পর্যায়ে দু’জন পরিকল্পনা করে মিষ্টিকে চুনারুঘাট নিয়ে যান এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতের আঁধারে যোগী টিলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাওছার আবারো মিষ্টিকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা মৃত্যু নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার ফিরে যায়।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ওই তরুণী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে বুধবার দুপুরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ঘাতক স্বামী-স্ত্রীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত