ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঝিনাইদহে বিজিবি সদস্য হত্যা, ৩ কিশোর আটক

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৬

ঝিনাইদহে বিজিবি সদস্য হত্যা, ৩ কিশোর আটক

দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস পর ঝিনাইদহ শহরের হামদহ দাসপাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য নুরুজ্জামান (৬০) হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। সেই থেকে এই হত্যার মোটিভ ও ক্লু অজানা ছিল। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এই সফলতা অর্জন করে।

মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নুরুজ্জামান হত্যার মোটিভ ও ক্লু সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করা হয়।

এ ঘটনায় ৩ কিশোর ঝিনাইদহ শহরের হামদহ দাসপাড়ার শাহাবুদ্দীনের ছেলে আরাফাত (১৭), শহরের পাওয়ার হাউস পাড়ার মিন্টুর ছেলে নিশান (১৭) ও সদর উপজেলার রতনহাট গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মিরাজ (১৬) কে আটক করেছে পুলিশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বিজিবি সদস্য নুরুজ্জামানের স্ত্রী রাশিদা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে ওই তিন কিশোর বাসায় যাতায়াত করতো। নুরুজ্জামানের সাথে তাদের সখ্যতাও ভালো ছিল। ঘটনার দিন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে রাখার কথা জানতে পারে ওই তিন কিশোর। রাতে বাসায় ঢুকে তারা অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য নুরুজ্জামানকে হত্যার পর মোবাইল ফোন, টিভি, কাপড়, লাগেজ ও মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে যায়।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি বাজারের মৃত আব্দুল করিম বিশ্বাসের ছেলে নুরুজ্জামান বাসা বাড়ি করে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকতেন। নুরুজ্জামানের বড় ছেলে শাহিন ইমরান বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি হিসেবে এখন জেলখানায়। মেজো ছেলে শামিম ইমরান ঝিনাইদহ আদর্শপাড়া ৩নং পানির ট্যাংকি পাড়ায় ব্যবসা করেন। আর ছোট ছেলে শাওন ইমরান সেনাবাহিনীতে চাকরি করছেন।

মামলার বাদী নিহত নুরুজ্জামানের স্ত্রী রাশিদা বেগম দীর্ঘ ১১ মাস পর হত্যার রহস্য উন্মোচিত হওয়ায় সন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন।

ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, চুরি হওয়া নুরুজ্জামানের মোবাইলটি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল। সেটি খোলার পরই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও ট্র্যাকিং করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, টাকার জন্যই আরাফাত, নিশান ও মিরাজ বিজিবি সদস্য নুরুজ্জামানকে হত্যা করে। এছাড়া কীভাবে তারা এই হত্যা মিশনে অংশ গ্রহণ করে তার দায় স্বীকার করে বিস্তারিত আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত