ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২০, ২০:২৪

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার এক আবাশিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে মিরপুর থানায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন ওয় শিক্ষার্থীর বাবা।

অভিযুক্ত আব্দুল কাদের (৪২) মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার সুপার ও ওই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এলাকবাসীর দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন ওই মাদ্রাসার প্রধান আব্দুল কাদের। সোমবার বিষয়টি ওই ছাত্রী তার এক সহপাঠীকে জানায়। পরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুদ্ধ জনতা মাদ্রাসায় হামলা চালায়। তারা ভাঙচুরও করে ওই মাদ্রাসায়।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর বিকেলে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীর অভিভাবক তার মেয়ের খাবার দিতে গেলে অফিসকক্ষে শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। বিষয়টি সোমবার সকালে ভিকটিমের পরিবারকে অবহিত করলে ওই ছাত্রীর মা মাদ্রাসা গিয়ে তার মেয়ের নিকট থেকে বিস্তারিত ঘটনা শোনেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের তার মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ৪ অক্টোবর ভোর ৫টার সময় এবং একইদিন রাত ৮টার সময় ধর্ষণ করে।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ৬ দিন সে ওই মাদ্রাসায় থাকতো। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত, আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত মাদ্রাসায়। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। পরে ভোররাতে ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে অফিস কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন তিনি। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়েও দেন। তবে মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠী ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার তার বয়স নির্ধারণ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত