নৌকায় নিয়ে শিশুকে বলৎকার করলো ৪ যুবক
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২০, ২০:৫৭
নাটোরের লাালপুর উপজেলার নওপাড়ায় ১০ বছরের এক শিশুকে বলাৎকার করেছে ৪ যুবক। নদীতে বাঁধা নৌকায় নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে বলৎকার করে তারা। ওই সময় একজন তার মোবাইল ফোনে বলৎকারের ভিডিও ধারণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিশুটিকে লালপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শিশুটির বাবা জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে তার ছেলে পানসিপাড়া গ্রামের বেগমতলার দক্ষিণ পাশে পদ্মা নদীর ধারে বন্ধুদের সাথে খেলতে যায়। এ সময় পানসিপাড়া গ্রামের মুন্তকের ছেলে মাহাফুজ, রান্টুর ছেলে রিমন আলী, আব্দুর রহিমের ছেলে সেলিম, রেজাউলের ছেলে শিশির তার ছেলেকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে নৌকার ওপরে নিয়ে য়ায়। তারপর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে বলৎকার করে।
এ সময় শিশুটিকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। বলৎকারের ভিডিও শিশির নামের একজনের মোবাইলে ধারণ করা হয় বলে জানান তিনি।
সন্ধায় বাড়ি ফিরে শিশু মামুন ঘটনাটি তার বাবাকে জানায়। তিনি বিষয়টি স্থানীয় দুড়দুড়িয়া ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনসহ গ্রামের মাতবরদেরকে জানান। তারা শিশু মামুনকে বলৎকারের ভিডিও উদ্ধার করলেও বিষয়টি মীমাংসার জন্য কালক্ষেপণ করেন। পরে শিশু মামুনকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
১ সপ্তাহ গ্রামের মাতব্বরদের কাছে ঘুরে বিচার না পেয়ে লালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শিশুর বাবা মানিক আলী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুর রাজ্জাক শিশু মামুনকে সেক্সসুয়াল এ্যাসাল্ট করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশু মামুনকে বলৎকারের ভিডিওচিত্র তিনি নিজেও দেখেছেন।
এ ব্যাপরে লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
