ঢাকা, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

বৃদ্ধাকে পেটালেন ইউপি মেম্বার, ভিডিও ভাইরাল

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২০, ২০:৪১

বৃদ্ধাকে পেটালেন ইউপি মেম্বার, ভিডিও ভাইরাল

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধাকে পেটালেন স্থানীয় জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম।

বৃদ্ধাকে পেটানোর ৩ মিনিট পয়তাল্লিশ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি স্থানীয়ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি 'টক অফ দ্যা ডিস্ট্রিাক্ট' এ পরিণত হয়েছে।

মারধরের শিকার ওই বৃদ্ধার নাম রেহানা বেগম (৬১)। তিনি উপজেলার জামালপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।

ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত নাজমুল মেম্বারের নেতৃত্বে তার লোকজনসহ ওই বৃদ্ধা ও তার মেয়ের সাথে বাড়ির পাশের রাস্তার সীমানায় একটি গাছ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। এর এক পর্যায়ে ওই বৃদ্ধা গাছ কাটতে বাধা দিতে গেলে তাকে ধরে আছার মারেন নাজমুল মেম্বার। পরে মেম্বারের লোকজনসহ মেম্বার নিজে মা ও মেয়েকে বেধড়রকভাবে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। আর মা-মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কান্নাকাটি করছেন।

কিন্তু ভিডিওচিত্রে কাউকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। আর টিনের সীমানা প্রচীরের ফাঁক দিয়ে কেউ একজন পুরো ভিডিও চিত্রটি ধারণ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ওই মহিলা নাজমুল মেম্বারদের পুরনো বাড়ির জমিতে তাদের রাস্তায় একটি গাছ লাগিয়েছেন। যে রাস্তা দিয়ে অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করতো। বৃহস্পতিবার বিকালে আমি ও আমার বাবা ওই গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কার করে দিতে বলি। পরে ওই মহিলা আমার সত্তর বছর বয়স্ক বাবাকে দা নিয়ে কোপাতে তেড়ে আসেন। এ সময় আমি ওই মহিলাকে বাধা দেই এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই। আমার বাবাকে মারতে গেলে আমি কি বসে থাকব?

বৃদ্ধাকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, তার বিপক্ষের কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ইন্ধনে এসব হয়েছে। ওই মহিলা পরিকল্পিতভাবে গোপন ক্যামেরায় তা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করেছেন। তবে ভিডিওটি তার নিজের বলে স্বীকার করে এ প্রতিবেদকে বিষয়টি খেয়াল রাখতে বলেন।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী হারুণ-অর-রশিদ টিপু জানান, তিনি কালীগঞ্জের বাহিরে আছেন। তবে বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এই ধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন।

স্থানীয় জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার জানান, আসলে এটা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। যা মোটেই ঠিক হয়নি। তবে নাজমুল মেম্বার আমাকে ফোনে জানিয়েছেন তার বাবাকে ওই মহিলা মারতে উদ্যত হলে তখন মেম্বার ওই মহিলাকে ধাক্কা মারেন।

বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। তবে থানায় লিখিত কোন অভিযোগ করা হয়নি।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত