ঢাকা, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

আকবরের পালানোর নেপথ্যে সিনিয়র অফিসার!

  সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২০, ১৬:২৫  
আপডেট :
 ০৯ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৩৪

আকবরের পালানোর নেপথ্যে সিনিয়র অফিসার!

‘আমি খুনি না। আমি ইচ্ছে করে মারিনি, একা মারিনি। মার দিয়েছিলো ৫ থেকে ৬ জন, এজন্য মরে গেছে। সে (রায়হান) টাকা ছিনতাই করেছিলো।’

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বহিষ্কৃত ইনচার্জ এসআই আকবরকে ভারতের অভ্যান্তর থেকে আটক করে খাসিয়ারা। আটকের পর তাদের জেরার মুখে এভাবেই আকুতি করে কথাগুলো বলছিলেন আকবর।

সে টাকা ছিনতাই করেছিলো, আর তুমি জান নিয়ে নিছো- খাসিয়াদের একজনের এমন প্রশ্নে আকবর বলেন, ‘আমরা জান নেইনাই ভাই। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়েছি। পাবলিক মেরেছিলো আমরা হাসপাতালে নিয়েছি। কিন্তু ওখান থেকে সে মরে গেছে।’

তুমি কেনো ভাগলে- খাসিয়াদের এমন প্রশ্নে রশিতে বাঁধা অবস্থায় আকবর বলেন, ‘সাসপেন্ড করেছে, এরেস্ট (গ্রেপ্তার) করতে পারে। বলছে যে, দুই মাস পর ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। দুইমাস পর আবার গেলে বিষয়টা হ্যান্ডেল করা যাবে। আমি অন্য কোনো কারণে ভাগিনি।’

খাসিয়াদে জেরার মুখে আকবর আরও বলেন, ‘আমাকে সিনিয়র অফিসার বলেছে তুমি চলে যাও। কয়দিন পর, দুইমাস পর আইসো। মোটামুটি সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।’

এরপর ভারতের একটা পরিবারের সাথে যোগসাজশে ভারতের সীমান্তে পালান সাবেক এই এসআই।

আরও পড়ুন: ‘খোদার কসম ভাই, আমি ভাগব না’

পরে এসআই আকবরকে আটকের খবর দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সিলেটের জেলা পুলিশ ও কানাইঘাট থানা পুলিশ সীমান্ত এলাকায় ছুটে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে আকবরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কানাইঘাট থানার এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার এ তথ্য জানান।

এর আগে রোববার দিবাগত রাতে ভারতের দনা বস্তির খাসিয়ারা ভারতের অভ্যন্তরীণ এলাকা থেকে আকবরকে আটক করে।

পরে সোমবার দুপুর ১টার দিকে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী দনা এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে তাকে তুলে দেন।

আরও পড়ুন: এসআই আকবরের আলিশান বাড়ি

খাসিয়াদের হাতে আটক হওয়ার পর এসআই আকবর আকুতি করে বলেন, ‘আল্লাহর কসম ভাই, আমি ভাগব না। খোদার কসম ভাই, আমি ভাগব না।’

পরে আকবরকে খাসিয়ারা রশি দিয়ে বেঁধে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আকবর রশি দিয়ে না বেঁধে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধও করেন।

পরে এসআই আকবরকে আটকের খবর দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সিলেটের জেলা পুলিশ ও কানাইঘাট থানা পুলিশ সীমান্ত এলাকায় ছুটে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে আকবরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কানাইঘাট থানার এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন: এসআই আকবরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, সীমান্তে সতর্কতা

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন করা হয় নগরীর নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়হানকে (৩৩)। ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

আকবরকে আটকের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত