থানার সামনে কাদের মির্জার অবস্থান ধর্মঘট

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনিকে প্রত্যাহার এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার রাত ৮টায় তিনি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন।

বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু

রাত পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে কাদের মির্জা থানার ফটকে অবস্থান করছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ চরকাঁকড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজ টেকের বাজারে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সবুজ কাদের মির্জার কঠোর সমালোচনা করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয় নেতা কর্মীরা সবুজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আটক সবুজকে পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কাদের মির্জা থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে।

কাদের মির্জার অবস্থান ধর্মঘট থেকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও ওসি তদন্ত মো. রবিউল হকের প্রত্যাহার ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলাম সবুজ গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত আছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

আরও পড়ুন- ‘মাদানী’ উপাধি ভুয়া অভিযোগে শিশু বক্তাকে লিগ্যাল নোটিশ

বাংলাদেশ জার্নাল/আর