ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

  রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩৬  
আপডেট :
 ১১ এপ্রিল ২০২১, ১১:১১

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
অভিযুক্ত শিক্ষক কামরুল হাসান কেকে রায়।

রাঙামাটি শহরে কেকে রায় সড়ক এলাকায় স্কুলশিক্ষক কর্তৃক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত রাঙামাটি রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার ট্রেট ইনস্ট্রাকটর কামরুল হাসান।

ভুক্তভোগী ছাত্রীটি বলেন, কামরুল হাসান কেকে রায় সড়কে বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহমুদুন নবীর বাসায় ভাড়ায় থাকেন। সেখানে তিনি প্রাইভেট পড়ান। আমি তার কাছে ৪টি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ি। আমার সাথে আরো ২২ জন প্রাইভেট পড়ে। মাস শেষ হলে গত মাসের প্রাইভেট ফির জন্য কামরুল বার বার কল করতে থাকেন। শনিবার সকালে টাকাগুলো দিতে যাই। টাকা দিতে গেলে সে জিজ্ঞেস করতে থাকে সাথে আরো কেউ এসেছে কি না? ভাই এসেছে কি না? এসব কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে রুমের দরজা আটকে আমাকে ঝাপতে ধরে তার রুমে নিয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

আমি উপায় না দেখে তার হাতে কামড় দিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দ্রুত সেখান থেকে বের হই। আমি বাইরে আসলে সে আমাকে ডাকতে থাকে এবং বলতে থাকে যেন আমি এটি কাউকে না বলি। আমি চলে আসতে থাকলে সে আমার পিছু নেয়। একপর্যায়ে সে রাজবন বিহারের নির্মাণাধীন প্যাগোডা পর্যন্ত আসে। এ সময়ও এ ঘটনাটি কাউকে না বলে। এ ঘটনাটি আমি আমার পরিবারের লোকজনদের বলি। পরিবারের লোকেরা দুপুরে সেখানে গেলে কামরুল তার দোষ স্বীকার করে আমার কাছে মাফ চায়। সে যেন এ কাজ কারোর সাথে আর করতে না পারে আমি তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে জানান ভুক্তভোগী ছাত্রী।

রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নং কাউন্সিল কালায়ন চাকমা বলেন, খবর পেয়ে আমি আমার সহকর্মী সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জবাইতুন নাহারকে সাথে নিয়ে মাহমুদুল নবীর বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখি অভিযুক্ত শিক্ষকের ফ্লাটটি তালাবদ্ধ ছিলো। স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছে দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হবার পর কামরুল হাসান একটি ব্যাগ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেছে। আমি ও সহকর্মী কাউন্সিলর কেকেরায় সড়কে গিয়ে ঘরের মালিক মাহমুদুল নবী থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে কামরুলকে ফোন করি। আমাকে বলেছে সে গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছে। আমি তাকে বাড়িতে না গিয়ে রাঙামাটিতে আসতে বলি।

সন্ধ্যায় মাহমুদুন নবীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে একটু। বর্তমানে কামরুল বাসায় নেই। সে পালিয়ে যায়নি। সম্ভবত কোথাও গেছে।

সন্ধ্যায় এ বিষয়ে জানতে কামরুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি আপাতত কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমি এখন হাটাহাজারিতে। রাঙামাটিতে ফিরলে আমি আপনার সাথে কথা বলব। এক পর্যায়ে তাকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।

এ ব্যাপারে রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনতোষ মল্লিক বলেন, কামরুল আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। দুনিয়াতে লকডাউন চলতেছে এ অবস্থায় কোথায় কামরুল প্রাইভেট পড়াচ্ছে আমার জানা নেই। ঘটনাটি যেহেতু স্কুলের বাইরে ঘটেছে তাই ভিকটিম পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছি স্ব উদ্যোগে আইনি সহায়তা নিতে।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি। আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত