যেকোনো উপায়ে বাড়ি ফেরার তাড়া
মো. ফরহাদ উজজামান
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১১:৪৯ আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২১, ১২:১২
সাতদিনের কঠোর লকডাউন ও অফিস বন্ধের ঘোষণায় রাজধানী ছেড়ে বাড়ির পথে মরিয়া হয়ে ছুটছেন মানুষ। এ যেনো অনেকটা ঈদ যাত্রার মতো অবস্থা। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ট্রাক, প্রাইভেটকার, সিএনজি, মোটর সাইকেলে করেই ছুটছেন গন্তব্যের উদ্দেশে। এতে উপেক্ষিত হচ্ছে করোনার সকল স্বাস্থ্যবিধি। ঘরমুখী মানুষদের মধ্যে যেকোনো উপায়ে বাড়ি ফেরার তাড়া লক্ষ্য করা গেছে। যানবাহন না পেয়ে অনেককে হেঁটেও যেতে দেখা গেছে।
সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর গাবতলিতে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। তারা বলছেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকায় এলেও অনিশ্চয়তা নিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছেন পরিবারের কাছে। তবে মানুষের জটলা দেখে বোঝার উপায় নেই লকডাউন নাকি ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার তাড়া। শত শত মানুষের ভিড়। এই কাতারে আছে দিনমজুর, বাসচালক, রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
গাবতলি ট্রাফিক সিগন্যালে কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহমুদ হাসান বলেন, ঢাকা থেকে কোন দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। এমনকি ঢাকার বাইরে থেকেও কোন বাস প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সিটির মধ্যে যেসব বাস চলছে সেগুলোর অনুমতি সন্ধ্যা পর্যন্ত দেয়া আছে।
এদিকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে।
গাবতলির হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আলি হোসেন বলেন, সবকিছুই খোলা আছে। তাহলে দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখে কী লাভ? এই সুযোগে ট্রাকচালকরা বেশি ভাড়া নিয়ে ঠিকই যাত্রী পরিবহন করছেন।
এছাড়াও সাভার, নবীনগর, গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও বেড়েছে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ। বিকল্প যানে যেতে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। এখন পর্যন্ত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী কারখানা খোলা থাকলেও এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে স্বাভাবিক চলাচল।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ