ছুটির আগেই কর্মস্থল ত্যাগ করলেন এলজিইডি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ মে ২০২১, ১২:৪৫
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেয়া হলেও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছুটির একদিন আগে গোটা অফিস বন্ধ করে বাড়ি গেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অবশ্য উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেনের দাবি লকডাউনের কারণে অফিসে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সরে জমিনে হাতীবান্ধা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসে বুধবার সকাল ১১টার পর গিয়ে দেখা যায় গোটা অফিসের সকল কক্ষে তালা ঝুলছে। অথচ ওই ভবনে ইউএনও অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, পল্লী উন্নয়ন অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, হিসাব রক্ষক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগের মতই অফিস করছেন।
এলজিইডি অফিসে ১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিপরীতে ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত থাকলেও সবাই সরকারি নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ছুটির একদিন আগেই অফিস বন্ধ করে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। ফলে ওই অফিসের সেবাগ্রহীতারা এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তরিকুল রহমান নামে এক কর্মচারী এসে তাড়াহুড়া করে অফিসের তালা গুলো খুলতে থাকেন। তরিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১১টা বাজে কি কারণে অফিস সহায়ক অফিসের তালা খুলে নাই তা আমি জানি না। আমি অফিসে এসে দেখি কেউ নাই। তাই আমার কাছে যে চাবি ছিলো তাই দিয়ে তালা খুলছি। বাকি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কি কারণে অফিসে নাই তা আমি বলতে পাবো না। দুই একজন মাঠে থাকতে পারে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ওই অফিস প্রধান উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন নিজেই কয়েকদিন ধরে অফিসে আসেন না। তিনি কর্মস্থলে নিয়মিত থাকেন না। অফিস টাইম শুরু হওয়ার অনেক পরে অফিসে আসেন উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন এবং শেষ হওয়ার আগেই চলে যান। ফলে তার সঠিক তদারকির অভাবে উন্নয়নমূলক কাজে নানা অনিয়মের সুযোগ পায় অফিসের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন বলেন, ১৬ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন তাই অফিসে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অফিসের ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৩ জনের একটু সমস্যা তাই তারা চলে গেছেন। সরকারি নির্দেশ আছে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না আপনি নিজেই কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন কেন? এ প্রশ্নে কোনো সৎ উত্তর দিতে পারে নাই ওই কর্মকর্তা।
লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান বলেন, কি কারণে অফিসে কেউ নাই তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে