ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কালা বাবু-লাল বাবুর দাম ১৫-২৫ লক্ষ

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২২, ১১:৩৮

কালা বাবু-লাল বাবুর দাম ১৫-২৫ লক্ষ
ছবি: প্রতিনিধি

দেখতে দেখতে চলেই আসলো পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসবের প্রস্তুতি আর কোরবানির পশু নিয়ে খন ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই।

এরই মধ্যে রাজবাড়িতে দেখা মিললো সবচেয়ে বড় আকৃতির ফিজিয়ান ও সিন্ধি জাতের গরুর। নাম কালা বাবু,পাখৈর বাবু,লাল বাবু ও টাইগার। এদের মধ্যে দুটি গরুর ওজন প্রায় ১ হাজার ৬শ কেজি বা ৪০ মণের উপর আর অপর দুটি গরুর ওজন ১ হাজার ৪শ থেকে ১ হাজার ২শত ৮০ কেজি।

ফিজিয়ান ও সিন্ধি জাতের এ গরু গুলোর একেকটির দাম হাকা হয়েছে ১৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। কালো, কালো-সাদা মিশ্র ও লাল রংয়ের গরু গুলোর উচ্চতা সাড়ে ৬ফিট এবং দৈর্ঘ্যে ৯ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত।

কোরবানি উপলক্ষে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাল্লাহুরিয়া গ্রামের আঃ অহেদ মোল্লা তিনটি বড় আকৃতির গরু তার নিজ বাড়িতে লালন পালন করছেন গত তিন বছর ধরে।

এদিকে জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের আখরজানি গ্রামের মিজানুর রহমান ও তার পরিবার গত তিন বছর ধরে ৩৫মণ ওজনের একটি গরু বড় করেছেন এবার কোরবানির ঈদে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। তাদের এ গরু গুলো দেখতে অনেকেই আসেন কিন্তু এখনও ক্রেতা না পাওয়ার কথা জানালেন তারা। তাই গরু বিক্রি নিয়ে হতাশা কাটছেনা তাদের। ভালো দামের আশায় এবার সরকারের কাছে ভারতীয় গরু আমদানি না করার অনুরোধ জানান তারা।

দুটি ৪০মণ ও একটি ৩২ মণ ওজনের ফিজিয়ান ও সিন্ধি জাতের তিনটি গরু গত তিন বছর ধরে সদর উপজেলার আঃ অহেদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার এবং সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় কিনে লালন পালন করছেন। এখন সে গরুগুলোর একেকটির দাম চাচ্ছেন ২৫ ও ২০ লক্ষ টাকা।

এদিকে মিজানুর রহমান তিন বছর আগে ৭৩ হাজার টাকায় ফিজিয়ান সাদা কালো রংয়ের গরুটি ক্রয় করে লালন পালন করলে বর্তমানে সেটির ওজন হয়েছে ৩৫ মণ। বড় আকৃতির হওয়ায় স্থানীয় ও দুর দরান্তের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ দেখতে আসছেন গরুগুলো।

দানাদার খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে বর্তমানে গরু পালনে আঃ অহেদ মোল্লা, মিজানুর রহমান এবং গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকার তোফাজ্জেল হোসেন তপু ও আশরাফ হোসেন, সামিয়া আসমিনসহ সকলেই গরু মোটাতাজাকরনে হিমশিম খাচ্ছে। রাজবাড়ীর খামারিরা প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরন করছেন। তারা কাচা ঘাস, ভূষি, খৈল, চালের গুড়া, ভুট্টা, চিড়া, কুড়া, চিটা গুড় খাওয়াচ্ছেন গরু মোটা তাজাকরনে।

খাদ্যের দাম বৃদ্ধির সাথে বন্যার পানিতে কাচা ঘাস তলিয়ে খামারিরা পড়েছেন আরও বেশি সমস্যায়। গরু মোটাতাজাকরনে খাদ্যের সাথে কৃত্রিম কেমিক্যাল ব্যবহার করছেন না তারা।

ভারত থেকে যেন কোন গরু আমদানি না করা হয় সেদিকে সরকারের প্রতি নজর দিতে অনুরোধ জানান রাজবাড়ীর খামারিরা। এ বছর রাজবাড়ীতে চাহিদার চাইতে ৪ হাজার গরু ও ছাগল উদ্বৃত্ত রয়েছে। কোরবানিতে জেলায় গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়াসহ ৩৬ হাজার ৭শ ৭৫টি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক সরদার বলেন, এবছর রাজবাড়ীতে খামারিরা কোরবানি উপলক্ষে প্রানী সম্পদ দপ্তরের পরামর্শে প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে বড় আকৃতির গরুসহ সব ধরনের গরু মোটাতাজা করছেন। জেলায় এ বছর অনেক বড় ধরনের গরু রয়েছে কোরবানি উপলক্ষ্যে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত