ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

কাশিমপুর কারাগারে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার আসামীর ফাঁসি কার্যকর

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:০০  
আপডেট :
 ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:০৩

কাশিমপুর কারাগারে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার আসামীর ফাঁসি কার্যকর
ফাইল ছবি।

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই হাইসিকিউরিটি কারাগারে ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দন্ড কার্যকর করা হয়। দণ্ড কার্যকর হওয়া কয়েদির নাম সাইফুল ইসলাম (রফিক) ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিক (৫০)। তিনি বগুড়া জেলার সদর থানার মালতি নগর নামাপাড়া এলাকার মোজাম ফকিরের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা। তিনি জানান, রোববার রাত ১০টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার হাইসিকিউরিটি পার্ট-৪ এ, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সাইফুল ইসলাম (রফিক) ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিককে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান ভুইয়া। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা: খায়রুজ্জামান।

মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজুয়ান আহামেদ, ডা: কামরুন্নাহার, গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালাসহ অন্যরা।

তিনি জানান, ফাঁসি কার্যকর হওয়া কয়েদী সাইফুল ইসলাম (রফিক) ওরফে সাইদুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে বগুড়ায় ডাকাতি ও ধর্ষণ করার অপরাধে বগুড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)/৩০ তৎসহ ৩৯৫ দন্ডবিধিতে মামলা রুজু হয়। নারী ও শিশু মামলা নং ২১৩/২০০৪, বগুড়া থানার মামলা নং-১৭(০১৭/০৪।

২০০৬ সালের ১০ মে এ মামলায় বিচারিক আদালত তার মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে তিনি ঐ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রথমে আপিল ও পরে রিভিউ আবেদন করেন। আদালতে আবেদন খারিজ হলে তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। পরে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। পরে কারাবিধি অনুযায়ী রোববার তার দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মরদেহ স্বজনদের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তার ভাই মো: রোকন ও মো. মেহেদী হাসান মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত