ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাঙামাটিতে ২৩ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি

  রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ১৪:৫৮  
আপডেট :
 ২২ মে ২০২৩, ১৫:০২

রাঙামাটিতে ২৩ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি
রাঙামাটিতে এখনো বই পায়নি ২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা । ছবি: প্রতিনিধি

রাঙামাটির বরকল উপজেলার ২৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি। এসব বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯’শ। সরেজমিনে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে কবে তারা বই পাবে তারও সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি বরকল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

বই বঞ্চিত বিদ্যালয়গুলো হল-

জাক্কোবাজেই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রদংহাবা, পুলছড়া, চুমোচুমি, বড় হরিনা মুখ, কুদুছড়া, নোয়াপাড়া, কুসুম ছড়ি দোসরি পাড়া, রংগাছছড়ি, বাকছড়ি, জুংছড়া, বামে ভূষনছড়া, বাজেইছড়া, মারিশ্যাছড়া, নোয়াপাড়া (বড় হরিনা), তাগলক বাগ, মরাঠেগা, তেলখনি ছড়া, পেরাছড়া, ঠেগা গুইছড়ি, রামুক্যাছড়ি এবং জারুলছরি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উল্লেখিত ২৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বামে ভুষণছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া বাকী ২২টি এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই।

বরকল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ২৩ টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে থেকে ৮টি বিদ্যালয় সুবর্নভূমি ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। বাকীগুলো জনগণের চাঁদার টাকা চলছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একটু আন্তরিক হলে এ সমস্যা দেখা দিত না। এসব কাজগুলো করে শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী ও কাম কম্পিউটার উদয়ন চাকমা। আমাদের কোন কথা শুনে না। সে ইউইও (উপজেলা এডুকেসন অফিসার) ছাড়া কাউকে পাত্তা দেয় না।

সুবর্নভূমি ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর মানবাশীষ চাকমা বলেন, আমাদের ৮টি বিদ্যালয়ে ৩৩৮ জন শিক্ষার্থী আছে। আমরা শুরু থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বইয়ের চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের বই দেয়া হয়নি। আমাদের ৮ স্কুলে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সর্বমোট ১৬৭৬টি বইয়ের চাহিদা ছিল। দেয়া হয় মাত্র ৫০৪টি।

রামছড়ি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনিল চাকমা বলেন, নতুন বইয়ে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন পাঠ সংযোজন করা হয়েছে। বই না পাওয়ায় আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা অনেকবার যোগাযোগ করেছি উপজেলা শিক্ষা অফিসে। কিন্তু আমাদের কথার কোন পাত্তা দেয়নি শিক্ষা অফিস।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সালাম বলেন, এক সময় ম্যানুয়েলি বইয়ের চাহিদা নেয়া হত। গত বছর থেকে অনলাইনে বইয়ের চাহিদা নেয়া হচ্ছে। যেটাকে পিইএমইএস (প্রাইমারী এডুকেসন ম্যানেজেমন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) বলা হয়। তাগাদা দেয়ার পরও এ অনুযায়ী বেসরকারী বিদ্যালয়গুলো ফরম পূরণ করেনি। ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা স্কুলগুলোতে বই পাঠানোর চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, আগামী বছরে এ সমসা সৃষ্টি হবে না। এ বছর সর্বমোট ১৮শ সেট নতুন বইয়ের চাহিদা পাঠিয়েছি। এ বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বইয়ের চাহিদা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত