ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

অপরাধী আত্মীয় হলেও ছাড় নয়: পলক

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫০

অপরাধী আত্মীয় হলেও ছাড় নয়: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জেরে শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বীকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, ‘কে আমার ভাই, কে আমার শ্বশুর, কে আমার ভাগিনা, কে আমার ভাতিজা কিংবা শ্যালক, এটা কোনো বিবেচনার বিষয় নয়। এটা নিয়ে আমি আসলেই বিব্রত, লজ্জিত, দুঃখিত এবং আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে অপহরণ ও মারধরের শিকার নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখনই আমি দেশে ফিরেছি, আমি মনে করেছি আমার দ্রুত আসা দরকার। আমার কর্মীর (দেলোয়ার) পাশে থাকা দরকার এবং স্পষ্ট বার্তাটা সবার কাছে দেয়া দরকার। সে আমার দলের নেতা-কর্মী হোক, সে আমার আত্মীয় হোক, যেই হোক, আমি নিশ্চিত করতে চাই, এখানে কোনো ব্যক্তিগত কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ব্যবহার করে বাড়তি কোনো সুবিধা নেয়ার সুযোগ নাই। এই পরিচয় যদি কেউ ব্যবহার করতে চায়, তাহলে আরও কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। সে রকম বার্তাই কিন্তু আমাদের নেত্রীর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে।

এ সময় পলক আরও বলেন, আমি নৌকার বিজয়ী সংসদ সদস্য ও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে মনে করেছি, এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমেই আমরা এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই, যেন কেউ কারও পরিচয় বহন করে আমাদের দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দুঃসাহস করতে না পারে।

গত সোমবার পলকের শ্যালকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় নাটোর জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রথমে দেলোয়ার হোসেনের ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ করে জিম্মি করা হয়। পরে বিকেলে দেলোয়ারকে অপহরণ করে তার ভাইকে ছেড়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় ফেলে দেয়া হয় দেলোয়ারকে। এরপর তাকে নাটোর হাসপাতাল থেকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এক রাত আইসিইউতে রাখা হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, লুৎফুল হাবীব রুবেল আমার আত্মীয়, তা অস্বীকার করব না। তবে আত্মীয়তার সুবাদে বা রাজনৈতিক কারণে কেউ বাড়তি সুবিধা পাবেন না। বরং এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে, যা এমপি–মন্ত্রীর স্বজনদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমরা দলের পক্ষ থেকেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

দেলোয়ার হোসেনের ভাই এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ভাইয়ের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো, কথা বলতে পারছে। তবে তার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। চোখ মেলতে পারছে না। চোখে ঝাপসা দেখছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মন্ত্রী আমার ভাইকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক মন্ত্রী কি করেন?

বাংলাদেশ জার্নাল/আইজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত