ঢাকা, রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

নেপাল থেকে ফিরে বার্ন ইউনিটে রুবায়েত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০১৮, ১৯:১৬  
আপডেট :
 ১৭ মার্চ ২০১৮, ১৯:২৭

নেপাল থেকে ফিরে বার্ন ইউনিটে রুবায়েত

শনিবার দেশে আনা হয়েছে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আহত যাত্রী রাশেদ রুবায়েতকে। বিকেলে দেশে আনার পর তাকে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে।

শনিবার বিকেলে কাঠমান্ডু থেকে দেশে পৌঁছার পর বিমানবন্দর থেকে রুবায়েতকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ভিআইপি কেবিনে রাখা হয়।

এ পর্যন্ত রুবায়েত সহ আহত পাঁচ যাত্রীকে ঢাকায় আনা হল। অন্য চারজনকেও রাখা হয়েছে বার্ন ইউনিটের ভিআইপি কেবিনে। তাদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।

গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের দুর্ঘটনার পর রুবায়েতসহ ১০ বাংলাদেশি যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তার অবস্থা অন্যদের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, 'দেখে মনে হচ্ছে, তার বুকের পাঁজরে কয়েকটা হাড় ভাঙা আছে আর পায়ে হালকা কিছু ইনজুরি। এটাই তার মূল সমস্যা। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্টের কথা সে জানিয়েছে, সেজন্য আমরা রেসপাইরেটরি মেডিসিনের প্রফেসরকে ডেকেছি। উনি এসে দেখবেন।'

তবে আপাতদৃষ্টিতে অন্যদের থেকে তার অবস্থা ভাল বলেও জানান ডা. সেন।

বার্ন ইউনিটে থাকা অন্য চারজন হলেন শাহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান অমিয়, মেহেদীর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ফুপাত ভাই ফারুক হোসেন প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি।

শাহরিনকে বৃহস্পতিবার এবং অন্য তিনজনকে শুক্রবার বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। আহত আরও দুজন কবির হোসেন ও মো. শাহীন বেপারিকে রোববার ঢাকায় আনা হচ্ছে।

আগামীকাল যে দুজন আহত যাত্রীর দেশে ফেরার তাদেরকেও কেবিনে রাখা হবে বলে জানান তিনি।

নেপালে চিকিৎসাধীন ইমরানা কবির হাসিকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হচ্ছে ভারতে। আহত রিজওয়ানুল হককে নেপাল থেকেই সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছেন তার বাবা।

এদিকে, পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছায় নেপালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আহত ইয়াকুব আলীকে।

তবে স্বজনদের সান্নিধ্যে রুবায়েত সেই অবস্থা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন ডা. সামন্ত লাল।

এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত