ধামরাইয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ
ধামরাই প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:২৪ আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৩০
ঢাকার ধামরাইয়ে এক গৃহবধূকে অপহরণের পর ইটভাটায় নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইটভাটার মালিক হাজী মো. হযরত আলীকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, ইটভাটা থেকে উদ্ধার করে নির্যাতিতকে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে নেয়ার পথে সে ভ্যান থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকার শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধামরাই থানা পুলিশ নয়ারহাটের একটি খাবারের দোকানের সামনে গাড়ি রেখে খাওয়ার জন্য যায়। এরই মধ্যে ভিকটিমকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তারা ডাকচিৎকার করে দৌড়াতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবদুর রহিম নামে একজন নিজেকে ধামরাই থানার পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে জানায়, পুলিশের গাড়ি থেকে গণধর্ষণের শিকার এক নারী উধাও হয়েছে। নির্যাতিতাকে একজন নারী কনস্টেবলের কাছে রেখে তিনি এবং অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা খাওয়ার জন্য যান। এ সময় নারী কনস্টেবলকে ফাঁকি দিয়ে নির্যাতিতা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে সে পুলিশের গাড়ি থেকে পালিয়েছে কিনা, তা জানা নেই।
তবে এ ঘটনায় আটক হওয়া বাথুলী এসডি ইটভাটার মালিক হযরত আলী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, যে সময়ে ঘটনা ঘটেছে বলে বলা হচ্ছে, সে সময় আমি ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায় ব্যক্তিগত কাজে ছিলাম। সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস