ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, অভিযুক্তদের বাড়িঘরে আগুন

  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ মে ২০১৯, ২০:২৬

ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, অভিযুক্তদের বাড়িঘরে আগুন

গৌরীপুরে মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় মাদক বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে নুরুজ্জামান জনি (৩২) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এলাকায় প্রতিবাদী যুবক হিসাবে পরিচিত জনি সবসময়েই স্থানীয় মাদক বিক্রেতা নুরু মিয়া (৪৫) ও তার সহযোগীদের মাদক বিক্রিতে বাধা দিতেন বলে স্থানীয়রা জানান।

প্রায় একবছর আগে মাদক বিক্রির সময় নুরু মিয়াকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন জনি। এ ঘটনার শত্রুতার জেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের নহাটা বাজারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা ওইদিন রাত ১০টার দিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বাড়ি-ঘরে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

নিহত জনি মাওহার কুমড়ী গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমান মাস্টারের একমাত্র ছেলে। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও কিশোরগঞ্জে একটি সিমেন্ট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নহাটা গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী নূরু মিয়ার সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রায় এক বছর ধরে জনির বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও রয়েছে। ঘটনার দিন ইফতার শেষে বাড়ি থেকে বের হয়ে নহাটা বাজারে রুকন মিয়ার চায়ের দোকানে বসেছিলেন জনি। এসময় মাদক ব্যবসায়ী নূরু মিয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সশস্ত্র লোক পরিকল্পিতভাবে জনিকে ডেকে নিয়ে সুজন মাহমুদের কম্পিউটারের দোকানের সামনে অতর্কিতে হামলা চালায়।

এসময় জনির বুকে ছুরিকাঘাত ও মুখে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করা হয়। প্রতিপক্ষের হাত থেকে বাঁচতে জনি দৌঁড়ে বাজার সংলগ্ন স্থানীয় খোকন মিয়ার পুকুর পাড়ে ওঠেন। সেখানে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।

স্থানীয় লোকজন তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, জনির মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাত ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শত শত জনতা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নূরু মিয়া, কাঞ্চন মিয়া, জিলু মিয়া, শিরু মিয়া, মোজাম্মেল, শামছু, হেলিম ও আব্দুল খালেকের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়।

নিহতের মা ঝরনা খাতুন ও স্বজনরা জানান, জনি মাওহা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

তারা বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে স্থানীয় বৈখেরহাটি বাজারে নূরু মিয়ার সাথে জনির বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর ইফতার শেষে বাড়ি থেকে কৌশলে মোবাইলে নহাটা বাজারে ডেকে নিয়ে জনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নূরু মিয়া গংরা।

গৌরীপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহত জনি ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মী হিসেবে গৌরীপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত